দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তেলাপোকার জুস খেতে হলে আপনাকে যেতে হবে চীনে। কারণ চীন তৈরি করছে তেলাপোকার জুস! কী হয় এই তেলাপোকার জুসে?
তেলাপোকা দেখে আৎকে ওঠার মতো লোকের অভাব নেই। তবে এমন লোক আছেন যারা তেলাপোকার জুস খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে সূদুর চীনে এমন লোকের অভাব নেই। তাই সেখানে তৈরি হয় তেলাপোকার জুস! শুধু তাই নয়, সেই জুস আবার বাজারজাতও করা হচ্ছে সেখানে।
সংবাদ মাধ্যমের জানা যায়, দেশটির সিচুয়াং প্রদেশের শিচ্যাঙ অঞ্চলের একটি ফার্ম তেলাপোকা উৎপাদন ও তা থেকে জুস উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। তারা বলছে এটি নাকি স্বাস্থ্যকর। যদিও খাবার হিসেবে ছাড়াও তেলাপোকা দিয়ে বানানো ওষুধও চীনে বিক্রি হয়।
এক তথ্যে জানা যায়, বছরে গড়ে ৬০০ কোটি তেলাপোকা জন্ম নিচ্ছে ওই ফার্মটি। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই ফার্মের আলোর পরিমাণ, আর্দ্রতা, খাবার সরবরাহের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। ওইসব তেলাপোকার ঘরগুলোতে মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঢোকে না। এই ফার্মে চাষ করা তেলাপোকা হতেই বানানো হয় বিশেষ ওষুধ ‘ককরোচ জুস’।
জানা যায়, প্রথমে বেছে বেছে স্বাস্থ্যকর তেলাপোকাগুলোকে পৃথক করা হয়। তারপর সেগুলো ভােলো করে ধুয়ে একটি মেশিনে ঢোকানো হয়। এই মেশিনেই তেলাপোকাগুলোর জুস বানানো হয়। আর তখন তৈরি হয়ে যায় ‘ককরোচ জুস’!
সংবাদ মাধ্যমের এক তথ্যে জানা যায়, এই জুস খেলে খাদ্যনালী ও শ্বাসযন্ত্রের রোগ দূর হয় বলে দাবি চীনের ওই সংস্থাটির। জুসের বোতলের গায়ে উপকরণের জায়গায় শুধু লেখা পেরিপ্ল্যানাটা আমেরিকানা (মূলত তেলাপোকার বিজ্ঞানসম্মত নাম এটি)।
ওই সংস্থাটি ২০০ মিলিলিটারের একটি ‘ককরোচ জুস’ বোতল ৮ ডলারে বিক্রি করে। যা বাংলাদেশী টাকায় মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৬৬৩ টাকার মতো।