দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুধু কী খেলায় ‘টস’ করা হয়? এর জবাবে সবাই একবাক্যে বলনেন অবশ্যই তাই। কিন্তু এবার এর ব্যতিক্রমি ঘটনাও ঘটলো। অপরাধীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ‘টস’ করলো।
এমন হাস্যকর বিষয়টি ঘটেছে ইউরোপের প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র জর্জিয়ায়। আর সেই ঘটনার জেরে দুই নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে শেষ পর্যন্ত বরখাস্তও করা হয়েছে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এক নারীকে আটকানো হয়েছিল দ্রুত গাড়ি চালানোর অপরাধে৷ এই সময় দুই নারী পুলিশ কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না ২৪ বছরের এক নারীকে আদৌ গ্রেফতার করা হবে নাকি হবে না৷ তাই তাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নিতে তারা ‘টস’ করেছিলেন।
জানা যায় যে, ওই ২৪ বছর বয়সী নারীকে দাঁড় করানো হয়েছিল গত এপ্রিল মাসে৷ ওই নারী সে সময় অফিস যাচ্ছিলেন এবং তিনি কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য বের হতে দেরি করে ফেলেছিলেন৷ তারপর তিনি ১৩০ কিমি (৮০ মাইল) প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে গাড়ি চালাচ্ছিলেন৷
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ওই গতিবেগে যাওয়ার ভিডিও ফুটেজ স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলেও দেখানো হয়৷ ওই দুই নারী পুলিশ কর্মকর্তা সেই সময় আলোচনা করেন গাড়ির ড্রাইভার সারাহ ওয়েবকে স্পিড টিকিট দিয়ে ছেড়ে দেওয়া উচিত নাকি বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা উচিত৷
সেই সময় তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় পড়েন৷ তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন যে একটি কয়েন নিয়ে ‘টস’ করা হোক৷ “হেড পড়লে গ্রেফতার ও টেল পড়লে ছেড়ে দেওয়া৷” অফিসার কুর্টনি ব্রাউন কয়েন বের করেন এবং হাওয়ায় ছুঁড়ে দেন ‘টস’ করতে৷ কয়েনটি পড়ে তার মোবাইল ফোনের ওপর এবং ওয়েবের বিপক্ষে যায় ‘টস’টি৷
তারপর ব্রাউন এবং আরেক পুলিশ অফিসার ক্রিস্টি উইলসন আলোচনা করে ভিডিও দেখে সারাহ ওয়েবের বিরুদ্ধে চার্জ লিখতে শুরু করে দেন৷ তবে ৯ জুলাই আদালতে শুনানির দিন তাঁর বিরুদ্ধে সব চার্জ তুলে নেওয়া হয়৷ তিনি অবশেষে মুক্তি পান৷ এরপর ওয়েব বলেন যে, “আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি৷ কোনও ব্যক্তির গ্রেফতারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা কি করে এতো তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে৷”
রসওয়েল পুলিশ বিভাগের চীফ রাসটি গ্রান্ট জানান, এরপরই তদন্ত শুরু হয় এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে৷