দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লাশ পাওয়ার পর দুই সৌদি তরুণীকে নিয়ে চলছিলো নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে পুলিশ সেইসব নানা শংকা সরিয়ে দিয়ে বললো, দুই সৌদি তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন!
লাশ পাওয়ার পর দুই সৌদি তরুণীকে নিয়ে চলছিলো নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে পুলিশ সেইসব নানা শংকা সরিয়ে দিয়ে বললো, দুই সৌদি তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হাডসন নদী হতে উদ্ধার হওয়া সৌদি দুই বোনের মৃতদেহের রহস্যের জটলা খুলেছে। নিজেদের একসঙ্গে বেঁধে দুবোন আত্মহত্যা করেছে বলে গতকাল (বুধবার) জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ২৪ অক্টোবর নদী হতে উদ্ধার করা হয় দুই সৌদি তরুণী রোতানা ফারিয়া ( ২২) এবং তারই ছোট বোন তালা ফারিয়ার (১৬) লাশ। সেই সময় দুজনের মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্নই ছিল না। কালো পোশাক পরে ছিলেন এই দুই তরুণী। এই তরুণীদ্বয়ের কোমর, হাঁটু এবং গোড়ালি একসঙ্গে টেপ দিয়ে বাঁধা ছিল। কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তৈরি হয় ব্যাপক রহস্য। অবশেষে রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। নিউইয়র্ক পুলিশের ভাস্য হলো, আত্মহত্যাই করেছিলেন এই দু্ই তরুণী।
তদন্তে নিয়োজিত মেডিকেল পরীক্ষক বারবারা স্যাম্পসন বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি এরা আত্মহত্যা করেছিল। হাডসন নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পূর্বে তারা যেভাবে নিজেদের বেঁধেছিল, তা থেকেই বোঝা যায়, আত্মহত্যা করেছিল এই দু’বোন।’
ঘটনার দিন এক প্রত্যক্ষদর্শী দু’বোনকে হাডসন নদীর পাশে একটি খেলার মাঠে দেখতে পেয়েছিলেন। সেই সময় এই দুই বোন প্রার্থনায় মগ্ন ছিলেন বলে জানিয়েছে সেখানকার পুলিশ।
ইতিপূর্বে নিউইয়র্ক পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন রোতানা-তালা। ২০১৫ সালে সৌদি আরব হতে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্সে আসেন। সেই সময় তাদের সঙ্গে তাদের মাও ছিলেন। তবে দুই বোন প্রায়ই তাদের ভার্জিনিয়ার বাড়ি হতে পালিয়ে অন্যত্র চলে যেতেন। ২০১৭ সাল হতে তারা ওই বাড়িতে আর থাকতেন না। গত বছরের আগস্টে নিউইয়র্কে চলে আসেন তারা। নিউইয়র্কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানের হোটেলে থাকতেন তারা। তবে কেনো আত্মহত্যা করেছে সেই বিষয়টি হয়তো আরও তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।