দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একমাত্র পুত্রবধূরই দায়িত্ব শ্বশুরবাড়ির সবার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরি করা তা কিন্তু নয়।এটি উভয়েরই দায়িত্ব বলা যায়। তবে যাই হোক শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কটা সহজ হয়ে গেলেই কিন্তু অনেকটা নিশ্চিন্ত হন পুত্র বধুরা।
এই বিষয়ে কয়েকটি সহজ টিপস:
# শাশুড়িকে মা বলে ডাকতে অনেকের অসুবিধা হয়ে থাকে- সেই আড়ষ্টতা ধরা পড়ে যায় অনেক সময়। সেটি কিন্তু শাশুড়ির মোটেই ভালো লাগে না। তাই নতুন কোনও আদুরে নাম পাতিয়ে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। যেমন ‘মামণি’ বা ‘মামমাম’ ধাঁচের কোনো নাম। এতে শাশুড়ি বরং আপনার উপর খুশিই হবেন।
# বিয়ের পরেই বেশিরভাগ মায়ের মনে হয় ছেলে বুঝি এখন বউয়ের- মায়ের নেই। ভাবনাটা অযৌক্তিক বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তাই বিয়ের পর পরই ঝামেলা এড়াতে ও শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কটা সহজ করতে প্রথম প্রথম একটু বেশি সময় দিতে হবে তাকে, সেটা বসার ঘরে হোক বা কিচেনে হোক।
# খেয়াল রাখতে হবে শাশুড়ি যা ভালবাসেন, বই বা সিনেমা বা শপিং, সেই হবিতে তার সঙ্গী হতে হবে। কখনও কখনও হঠাৎ করে বই উপহার দিন কিংবা সিনেমার টিকিট কেটে সারপ্রাইজ দিতে পারেন। এতেও তিনি বেশ খুশি হবেন।
# শাশুড়িকে সম্ভব হলে নিজে হাতে সাজিয়ে দিন। একটু নতুন ধাঁচে চুল বেঁধে দেওয়া কিংবা যেমন শাড়ি তিনি পরেন, তার চেয়ে অন্য রকম শাড়ি তাকে উপহার দিতে পারেন। নতুন হেয়ারকাটও ট্রাই করতে পারেন আপনি।
# মাঝেমধ্যেই শাশুড়ির সঙ্গে সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করুন এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য আত্মীয়দের ট্যাগও করুন। এতেকরে সম্পর্ক আরও সহজ হবে।
# কখনও কখনও শ্বশুর বা স্বামী অথবা শশ্বরবাড়ির অন্য কারও সঙ্গে শাশুড়িকে নিয়ে হাসিঠাট্টাতেও অংশ নেবেন না। বরং এ সব ক্ষেত্রে শাশুড়ির পক্ষ নিন কিংবা চুপ করে থাকুন।
# স্বামীর উপর আপনার অধিকার বেডরুমের বাইরে খুব একটা প্রকাশ না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ছেলেকে খেতে দেওয়া বা ছেলের জামাকাপড় গুছিয়ে রাখা ইত্যাদি বিষয়গুলো শাশুড়িরা অনেক সময় ছেলের বিয়ে দেওয়ার পরেও করতে থাকেন। এসব বিষয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না। আগ বাড়িয়ে সে সব কিছু করতে গেলে বরং উলটো সমস্যায় পড়তে পারেন। শাশুড়িকে বরং বেশি বেশি সময় দিন, যাতে তিনি নিজেই ওই সব দায়িত্ব আপনার হাতে তুলে দিতে পারেন।