দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন চালু হচ্ছে। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন (১৪ এপ্রিল) হতে এই নতুন ট্রেন সার্ভিসটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন অনুমোদন দেওয়ার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সোমবার এক বিবৃতিতে এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মেয়র।
জানা যায়, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতিই ছিল রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন চালুকরণ। নির্বাচনের পূর্বে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, নির্বাচনে বিজয়ী হলে ৬ মাসের মধ্যেই রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন চালু করবেন। নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করার পর হতেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাস হতেই রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন চালু হতে চলেছে।
এই বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন সংবাদ মাধ্যমকে তাঁর এক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেনটি অনুমোদন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং অশেষ কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করছি।
মেয়র আরও বলেন, সপ্তাহে একদিন বাদে বাকি সবদিনই ট্রেনটি সকালে রাজশাহী হতে ঢাকায় যাবে। আবার সেদিনই পুনরায় ঢাকা হতে রাজশাহী ফিরবে। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন (১৪ এপ্রিল) হতে এই ট্রেনটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকা) এই ট্রেনের বগি তৈরি করেছে। সেখান থেকেই জাহাজে করে ইতিমধ্যেই এগুলো বাংলাদেশে আনাও হয়েছে।
ট্রেনটির নাম সম্পর্কে জানা যায়, হিমসাগর এক্সপ্রেস, রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, নর্দান এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস এবং গ্রিন সিটি এক্সপ্রেস ৫টি নাম প্রস্তাব করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এগুলো থেকেই একটি চূড়ান্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া কর্তৃপক্ষ এই রুটে এক জোড়া বিরতিহীন ট্রেনের আবাদেন করলেও দেওয়া হচ্ছে একটি ট্রেন। তবে ১০% ভাড়া বাড়বে বলে জানা গেছে। রাজশাহী-ঢাকা রুটে নতুন বিরতিহীন ট্রেনে এই বগিগুলোই যুক্ত হয়ে চালু করা হবে ট্রেনটি। যেখানে মোট বগিসংখ্যা হতে পারে ১২টির মতো। যার আসনসংখ্যা হতে পারে ৯৩২।
উল্লেখ্য, মেয়রের এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি পূরণ হলো।