দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞানের বদৌলতে পৃথিবী যেনো দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। নানা গবেষণা মানুষের জীবন মান যেনো এক অন্যখানে নিয়ে যাচ্ছে। এবার এমনই এক আবিষ্কার হলো কম্পিউটার এখন থেকে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়!
বিজ্ঞানের বদৌলতে পৃথিবী যেনো দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। নানা গবেষণা মানুষের জীবন মান যেনো এক অন্যখানে নিয়ে যাচ্ছে। এবার এমনই এক আবিষ্কার হলো কম্পিউটার এখন থেকে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়!
এক কথায় বলা যায়, আমাদের বাসগৃহ অর্থাৎ এই পৃথিবীতে চলছে আবিষ্কার এবং কর্মচাঞ্চল্যের এক মহোত্সব। ছেলে বড় হয়ে চাকরি করে অর্থ উপার্জন করবে—এই প্রথাগত ধারণা এখন যেনো দিনকে দিন বদলে যাচ্ছে। প্রথাগত ধারণার বাইরে এসে জুকারবার্গ, স্টিভ জবস, সের্গেই ব্রিন ও এলন মাস্কসহ এমন অনেকের মতো বিজ্ঞানের মানুষজন তাদের চমক লাগানো সব আইডিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর পুরো স্ট্রাকচারই যেনো পরিবর্তন করে দিচ্ছে। এলন মাস্ক হলেন সেই ধারারই একজন মানুষ। পৃথিবীর ভাগ্য পরিবর্তনের চাবিকাঠি ক্ষমতা বা শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের হাতে থাকলেও নতুন দিনের এই পার্শ্ব-নায়কেরাই হয়ে উঠছেন আগামী পৃথিবীর একচ্ছত্র অধিপতি। তাদের হাত ধরেই প্রযুক্তিগত উত্কর্ষতার মাধ্যমে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মাত্রা। জীবন ধারণে, জীবন যাপনেও আসছে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া।
টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এলন মাস্কের স্টার্টআপ সংস্থা নিউরালিঙ্ক এবার তৈরি করতে চলেছে হাই-ব্যান্ডউইথের ব্রেন মেশিন যাকে বলা হচ্ছে ইন্টারফেসেস। যা হয়তো এতোদিন কোনো সায়েন্স ফিকশন ছবিতেই কেবলমাত্র দেখতে পেয়েছে পৃথিবীর মানুষ। এর মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্ক এবং কম্পিউটরকে যোগ করা যাবে খুব সহজেই। এলন মাস্কের এই সংস্থার প্রচার খুব একটা দেখা যায়নি কখনও। নিউরালিঙ্ক-এর পক্ষ হতে জানানো হয় যে, স্যান ফ্র্যানসিসকোতে আমাদের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে এর সম্পর্কে জানানো হয় যে গত দুই বছরে এই কাজে কতদূর আমাদের এগোনো সম্ভব হয়েছে। অনলাইনেও এই অনুষ্ঠানের কিছু আসন রিজার্ভের জন্য রাখা হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, নিউরালিঙ্কের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল একটি মেডিক্যাল রিসার্চ সংস্থা হিসেবে ২০১৬ সালে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক হাই-প্রোফাইল নিউরোসায়েনটিস্টকেই এই সংস্থায় নিয়োগ করা হয় গবেষণার জন্য। যাদের নানা গবেষণার মাধ্যমে ধন্য হবে বিশ্ববাসী।