দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত উসামা বিন লাদেনের পুত্র হামজা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির তিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ৩১ জুলাই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এই খবর দিয়েছে।
কিন্তু কখন, কোথায় বা কিভাবে লাদেন পুত্রের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারেননি ওই তিন কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী নেতা এবং সাবেক আল-কায়েদা প্রধানের পুত্র হামজা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে। এই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্যও রয়েছে। তবে এই নিহত হওয়ার ঘটনায় আমেরিকা জড়িত থাকার বিষয়টি তারা নিশ্চিত করে কিছুই বলেননি।
অপরদিকে লাদেনপুত্র নিহতের ঘটনার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প বলেছেন, এই বিষয়ে আমি কোনো রকম মন্তব্য করতে চাইনা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ মার্চে সৌদি আরব লাদেন পুত্রের নাগরিকত্ব বাতিল ঘোঘণা করে। তখন যেকোনো দেশে হামজার অবস্থান বা শনাক্ত করা সম্ভব এমন তথ্য দিতে পারলে ১০ লাখ ডলারের পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছিল ওয়াশিংটন।
১১ সেপ্টেস্বর হামলার পূর্বে ৩০ বছর বয়সী হামজা আফগানিস্তানে তার বাবার সঙ্গেই ছিলেন। পরবর্তী সময় আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের পর পাকিস্তানেও তারা একসঙ্গে সময় কাটিয়েছেন।
১৯৮৯ সালে হামজা বিন লাদেন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে তার বাবা ওসামা বিন লাদেন আফগানিস্তানে যান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। আল-কায়েদার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও বাবা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে হামজাকেও দেখা গেছে।
তবে ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিলের এক অভিযানে উসামা বিন লাদেন নিহত হলেও ওই কম্পাউন্ডে হামজাকে দেখা যায়নি।
২০১৭ সালেও এক প্রবন্ধে সন্ত্রাসবাদবিরোধী বিশেষজ্ঞ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সাবেক এজেন্ট আলি সওফান বলেছিলেন, বাবার প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য হামজা প্রস্তুত হচ্ছেন।
হামজা সম্পর্কে জানা যায়, ওসামার জীবিত তিন স্ত্রীর মধ্যে খাইরিয়া সাবারের গর্ভে জন্ম হয় হামজা বিন লাদেন। গত আগস্টে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় প্রধান বিমান ছিনতাইকারী মোহাম্মদ আত্তার মেয়েকে বিয়ে করেন হামজা। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় প্রাণ হারায় ২ হাজার ৭৫৩ জন। সূত্র : দ্যা গার্ডিয়ান এবং সিএনবি নিউজ