দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুরতে গেলে ঐতিহাসিক স্থানে যাওয়ায় হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই চলে যান শৈলকুপার জমিদার বাড়ি। ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন এখানে বেড়াতে গেলে।
ঐতিহাসিক শৈলকুপা জমিদার বাড়ি অবস্থিত ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর গ্রামে। বাংলা ১২শ শতকের মাঝামাঝি সময় অবিভক্ত ভারতবর্ষের যশোর জেলার জমিদার রামসুন্দর শিকদার প্রায় ৪০০ বিঘা জায়গার উপর শৈলকুপা জমিদার বাড়িটি স্থাপন করেন। দ্বিতল এই জমিদার বাড়ির চারদিকে ঘুরানো ভবনসহ প্রায় ৩৫০টি কক্ষ ছিল। পরবর্তীতে রামচন্দ্র এখানে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসসহ একটি বড় বাজার এবং থিয়েটার হল স্থাপন করে তার জমিদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা পরবর্তীতে শিকদার স্ট্রীট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
জমিদার রামসুন্দরের উত্তরসূরিদের তত্ত্বাবধানে জমিদারদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র যেমন গ্রামোফোন, পাথরের হুক্কা, তরবারি, প্রাচীন আমলের বাদ্যযন্ত্র এসরাজ, শ্রীমদ্ভাগবতম, শাল কাঠের দুটি মন্দির এবং রূপার তৈরি জরির নকশাকৃত বেনারসি শাড়ীর অংশ সহ বেশকিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে। কালের আবর্তে শিকদার স্ট্রীটের জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলেও জমিদারী প্রথার ঐতিহাসিক সাক্ষী হয়ে প্রাচীন বাড়িটি আজও টিকে রয়েছে। বর্তমানে শৈলকূপা জমিদার বাড়ির এক অংশে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং আরেক অংশে জমিদারের উত্তরসূরিরা বসবাস করেন।
যাবেন কিভাবে
রাজধানী ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল হতে সোনার তরী, এসবি পরিবহণ, রয়েল, জেআর পরিবহণ, চুয়াডাঙ্গা, হানিফ, দর্শনা এবং পূর্বাশা ডিলাক্স বাসে চড়ে ঝিনাইদহ জেলায় যাওয়া যাবে। ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বর হতে অটো বা সিএনজি নিয়ে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলা সীমান্ত ঘেঁষা আবাইপুর গ্রামে শৈলকুপার এই জমিদার বাড়ি দেখতে যেতে পারবেন।
থাকবেন কোথায়
ঝিনাইদহ শহরে হোটেল রাতুল, হোটেল জামান, হোটেল রেডিয়েশন, নয়ন হোটেল, হোটেল ড্রিম ইন এবং ক্ষণিকা রেস্ট হাউজ সহ বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউজ রয়েছে থাকার জন্য।
খাবেন কোথায়
শৈলকুপাতে হালকা চা-নাস্তা করার সুযোগ থাকলেও ভালোমানের খাবারের জন্য আপনাকে যেতে হবে ঝিনাইদহ জেলা শহরের পায়রা চত্বরের কাছে অবস্থিত কস্তুরি হোটেল, ক্যাফে কাশফুল, লিজা ফাস্ট ফুড, অজয় কিচেন, ইং কিং চাইনিজ, রূপসী বাংলা রেস্তোরাঁ, সুইট হোটেল বা আহার রেস্টুরেন্টে।
ঝিনাইদহের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
ঝিনাইদহ জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট, বারোবাজার, মিয়ার দালান এবং জোহান ড্রিম ভ্যালী পার্ক উল্লেখযোগ্য স্থানসমূহ।
তথ্যসূত্র: https://vromonguide.com