দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি উত্তর জাপানের আকাশে এক সাদা রঙের রহস্যজনক বস্তু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। এই রহস্যের কোনো কূল কিনারা পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
এটিকে অনেকেই ভিনগ্রহীদের পাঠানো কোনো এক রহস্য বস্তু বলে মনে করছেন! যে কারণে নতুন করে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব নিয়ে আবারও জল্পনা শুরু হয়েছে।
এই বস্তুটি আসলে কী? এটি ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে নানা রকম যুক্তিতর্ক। কারও কারও ধারণা মতে, ওই সাদা রহস্যজনক বস্তুতি আসলে UFO হতে পারে।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে জাপানের উত্তরাঞ্চলের মিয়াগী প্রদেশের সেন্ডাই এবং মুরাতা এলাকাতে। সমুদ্র ও পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত সেন্ডাই প্রদেশ। ২০১১ সালের ভূমিকম্প ও তার জেরে সৃষ্ট সুনামির গ্রাসে এই শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। প্রকৃতির সেই রোষের ধাক্কা সামলে আস্তে আস্তে আবারও পুরনো রূপে জেগে উঠেছে জাপানের এই শহরটি। সেখানেই দেখা গেছে বেলুন-সদৃশ সাদা রঙের একটি ‘যান’কে আকাশে উড়তে।
জানা যায় যে, সম্প্রতি সকালের দিকে উত্তর জাপানের সেন্ডাই এবং ফুকুসিমা প্রেফেকচারের আকাশে রহস্যজনক ওই বস্তুটি দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পর পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আসলে ওই সাদা বস্তুতি কী ছিল, তা তদন্ত করে দেখার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে বহু মানুষ ওই রহস্যজনক বস্তুটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন। সঙ্গে ছুঁড়ে দেন নানা রকম প্রশ্ন।
ওই খবর ও ভিডিও টুইটারে ওই দিনই দুপুরের মধ্যে ট্রেন্ডিং তালিকায় উঠে আসে। তাতে নানা মত দিতে শুরু করেন অনেকেই। সেই সূত্রেই আসে UFO-র প্রসঙ্গটি। আবার ঠাট্টা করে অনেকেই বলেন, ওটা আসলে করোনা ভাইরাস! কেও বলেন, এটা কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ার একটি চক্রান্ত। তারা আকাশে রহস্যজনক বস্তু ভাসিয়ে জাপানের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছেন।
তবে সেন্ডাই আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে যে, ওইদিন ভোরের পর থেকে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা ধরে এটি জাপানের আকাশে দেখা গেছে। এটি দীর্ঘ সময় ধরে একই জায়গায় স্থির হয়ে ছিল। তারপর এক সময় মেঘের আড়ালে সেটি হারিয়ে যায়।
সেন্ডাই আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, আমাদের কোনো ধারণাই নেই যে এটি আসলে কী। হতে পারে এটি আবহাওয়া পরিমাপ করার কোনো নতুন প্রযুক্তি। তবে নিশ্চিত করেই বলছি, এটি মোটেও আমাদের না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।