দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠা টিকটককে টেক্কা দিতে ২০২০ সালে ইউটিউব শর্টস নামে একই ধরণের সেবা নিয়ে আসে। মনিটাইজেশন ছাড়াও ইউটিউব শর্টস হতে আয় করা সম্ভব! কীভাবে?
অল্প সময়ের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একটি ইউটিউব ফিচারে পরিণত হয়েছে এই ইউটিউব শর্টস। ইউটিউবের ভিডিও থেকে আয় করতে হলে ইউটিউব মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হয়। তবে ইউটিউব শর্টস ফান্ডের মাধ্যমে ক্রিয়েটররা অবশ্য শুরুতে মনিটাইজেশন না থাকলেও আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব শর্টস আপলোড করার একাধিক উপায় বিদ্যমান রয়েছে। প্রথমত: ভার্টিকাল এসপেক্ট রেশিওর ৬০ সেকেন্ডের যে কোনো ভিডিও আপলোড করলে, তা শর্টস হিসাবেও বিবেচ্য হবে। আবার ইউটিউবের ভিডিওগুলোতে থাকা ‘ক্রিয়েট’ অপশন ব্যবহার করেওও ভিডিওর সাউন্ড দ্বারা শর্টস তৈরি করা যাবে। তবে শুধু বিনোদনের জন্যই নয়, ইউটিউবের মতো শর্টসেও ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করা যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক অর্থ আয়ের উপায়গুলো
ইউটিউবের ভিডিও হতে আয় করতে ইউটিউব মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হবে। তবে ইউটিউব শর্টস ফান্ডের মাধ্যমে ক্রিয়েটররা শুরুতে অবশ্য মনিটাইজেশন না থাকলেও আয় করতে পারবেন। ইউটিউব শর্টস ফান্ডই হলো ১০০মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের একটি ফান্ড, যেখান থেকে ২০২১ এবং ২০২২সালের মধ্যে যোগ্য ক্রিয়েটরদেরকে অর্থ প্রদান করা হবে। প্রতিমাসে একজন শর্টস ক্রিয়েটর ১০০ হতে ১০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত বোনাসও পেতে পারেন।
যেসব ক্রিয়েটর অরিজিনাল শর্টস ভিডিও তৈরি করবেন শুধুমাত্র তারাই বোনাস পান। এমনকি ইউটিউব পার্টনারের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেইসব চ্যানেলও শর্টস বোনাস পাবেন।
প্রতিমাসে পূর্ববর্তী মাসের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করেই ক্রিয়েটরদের বোনাস প্রদান করবে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। সকল শর্টস ভিডিও-এর পারফরম্যান্স মেট্রিকস এ তখন যোগ হবে। অর্থাৎ নতুন পুরনো সকল ভিডিও থেকে শর্টসের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।
শর্টস ফান্ডের বোনাস পেতে হলে মানতে বেশ কিছু শর্ত
শর্টস ফান্ডের বোনাস পেতে হলে চ্যানেলে ১৮০দিনের মধ্যে কমপক্ষে একটি শর্টস আপলোড থাকতে হবে। ইউটিউব কমিনিউটি গাইডলাইন, কপিরাইট রুলস এবং মনিটাইজেশন পলিসি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। যেসব চ্যানেলের ভিডিওতে অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের লোগো কিংবা ওয়াটারমার্ক থাকবে, সেই সব চ্যানেলগুলোকে বাদ দেওয়া হবে। অন্য কোনো ক্রিয়েটরের কনটেন্ট, সিনেমা, টিভি শো’র আনএডিটেড ক্লিপস আপলোড করলে তখন চ্যানেলটি বোনাস পাবে না। ক্রিয়েটরের বয়স কমপক্ষে ১৩ বছর কিংবা তার অধিক হতে হবে অবশ্যই। এইসব শর্তগুলো মানতে হবে। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।