দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা কম থাকতে পারে সেটি আমাদের অনেকের ধারণা নেই। কোনো কারণে সন্তান না হলে সেই দায় গিয়ে পড়ে স্ত্রীর উপর। আজ জেনে নিন পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে যে খাবার খেতে হবে।
মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যেতে পারে। প্রতিদিন এক মুঠো এই শুকনো ফল খেলে বাড়বে সেই সব পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা।
হালের বহু গবেষণাতে এমন অনেক তথ্য উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়, নানা কারণে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। যারমধ্যে রয়েছে মানসিক চাপ, তেমনই বিশ্রামের অভাবও। তাছাড়াও অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাসের কারণে দ্রুত হারে কমতে থাকে শুক্রাণুর উৎপাদন। যে কারণে কমে যাচ্ছে প্রজনন ক্ষমতা। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডায়েটে কিছু খাবার বেশি মাত্রায় রাখতে পারলে পুরুষরা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
পুরুষদের প্রতিদিনের ডায়েটে এক মুঠো এই শুকনো ফল খেলে বাড়বে শুক্রাণুর সংখ্যা। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়েন্ডি রবিন্স দাবি করেছেন, পুরুষের উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে আখরোট।
‘বায়োলজি অফ রিপ্রোডাকশন’-এর জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অনুযায়ী দেখা যায়, সারা বিশ্বে প্রায় ৭ কোটি মানুষ বন্ধ্যাত্বের শিকার। যারমধ্যে ৩০-৫০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী পুরুষরা। অধ্যাপক ওয়েন্ডির দাবি হলো, প্রতিদিন যদি অন্ততপক্ষে ৭৫ গ্রাম করে আখরোট খাওয়া যায়, তাহলে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা কমে আসবে। কারণ হলো আখরোট বাড়িয়ে দেবে স্পার্ম কাউন্ট কিংবা শুক্রাণুর সংখ্যা। শুধু শুক্রাণুর সংখ্যাই নয়, এর কার্যকারিতা, সক্রিয়তাও বাড়িয়ে দিতে পারে এই আখরোট। তবে সেজন্য আখরোট খেয়ে যেতে হবে এক টানা ৩ মাস।
ওমেগা ৩-ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ আখরোট। তাছাড়াও আখরোটে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টসও থাকে। পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হ্রাস করতে এইসব উপাদনগুলো বেশ উপকারী।
এই গবেষণাটি চালানো হয় ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সি এক দল যুবকের উপর। পরীক্ষায় দেখা যায়, যে সব পুরুষ আখরোট খাননি তাদের তুলনায় আখরোট খাওয়া ব্যক্তিদের শুক্রাণুর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ কয়েক গুণ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।