দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি হয়তো ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করছেন, ত্বক পরিচর্যাও করছেন তবুও কমছে না আপনার ব্রণের সমস্যা? কী কারণে এমন হতে পারে? এজন্য আপনাকে কিছু অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
কোনো উৎসব এলে মুখে ব্রণ উঠতে থাকা মানেই বিগড়ে যেতে পারে আপনার মেজাজ। তাই নজর দিতে হবে ব্রণ কমানোর দিকে।
সমাধানের পথ খোঁজার পূর্বে সমস্যার উৎস জানাটা জরুরি। ব্রণের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। তাই সবার আগে খুঁজে বের করা প্রয়োজন, ব্রণ হওয়ার কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো নীরবে বাড়িয়ে দিতে পারে ব্রণের সমস্যা।
চুলের প্রসাধনী
চুলের কিছু কিছু প্রসাধনীতে অতিরিক্ত তেল থাকে। এই তেল মাথার ত্বকে থাকা রন্ধ্রগুলোর মুখ বন্ধ করে দিতে পারে। আবার মাথায় মাখার প্রসাধনী ঠিক মতো পরিষ্কার না করা হলেও একই সমস্যা হতে পারে। তাতেই মাথার ত্বকে ও সংলগ্ন স্থানে দেখা দিতে পারে ব্রণ।
সানস্ক্রিন
রোদ থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন লোশন মাখাটা খুবই জরুরি। তবে প্রয়োজনের বেশি মাখলে, বাড়তি ক্রিম কিংবা লোশন থেকে যেতে পারে আপনার ত্বকে। চুলের প্রসাধনীর মতোই অতিরিক্ত সানস্ক্রিন ক্রিমও বন্ধ করে দিতে পারে ত্বকের বিভিন্ন রোমকূপগুলো। যে কারণে তৈরি হতে পারে ব্রণ।
দাড়ি কামানো
দাড়ি কাটলে বা মুখের লোম তুলতে ওয়াক্সিং করালে অনেক সময় দেখা দিতে পারে ব্রণ। রোমকূপে প্রদাহ তৈরি হলে কখনও কখনও সেগুলো আবার ফুলে ওঠে।
গর্ভনিরোধক বড়ি
অনেক নারী নিয়মিত গর্ভনিরোধক বড়ি খান। এই ধরনের ওষুধের মধ্যে যেসব হরমোন নির্ভর, সেই ওষুধগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও অনেক সময় মুখে ব্রণ দেখা দিতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।