দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর আয়োজনে পঞ্চমবারের মতো প্রদান করা হলো বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস।
৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে এই অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্ভাবনীমূলক পণ্য এবং সেবা প্রকল্পসমূহকে স্বীকৃতি দিতে এবারের আসরে মোট ৩৬টি ক্যাটাগরিতে ১০৮টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্ত সেরা প্রকল্পসমূহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অস্কার হিসেবে খ্যাত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস-এর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেবে।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ ও বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারায় এক ভিডিও বার্তায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “আজ যারা বিজয়ী হয়েছেন তারা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আইসিটি অস্কার এপিকটা প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, তাইওয়ান, হংকং, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে লড়াই করবে।
বর্তমানে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে আমাদের আইসিটি রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি ডলা’র। আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে এটিকে ৫শ’ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চাই ও অন্তত ৩০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাই। আজ যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ভবিষ্যতে এই লক্ষ্যমাত্রা তাদেরকে নিয়ে পূরণ করা হবে।
আগামীর জন্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তির দিকে মনযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে সফটওয়্যার হচ্ছে ভবিষ্যত অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ২০৪১ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন-২০৪১ দিয়েছেন, একটি বুদ্ধিদীপ্ত, সাশ্রয়ী, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশ’র, সেখানে মূল চালিকাশক্তি হবে সফটওয়্যার শিল্প হতে আমাদের রপ্তানী আয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পুর্ণভাবে সফটওয়্যার শিল্প নির্ভর হয়ে যাবে।
সরকার ও সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ ৩টি দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ই-গভর্নেস -এর প্রকল্পের কাজ দেশীয় আইসিটি প্রতিষ্ঠান করে থাকে। সেই কাজে সংশ্লিষ্ট বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানকে যেনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যে প্রতিষ্ঠান প্রকল্পে কাজ করছে সেখানে যেনো ওই প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ থাকে। এতে করে বিদেশেও কাজ পেতে আমাদের জন্য সহজতর হয়।”
সেইসঙ্গে দেশের ইন্ডাস্ট্রি ব্র্যান্ডিং ও দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে বেসিসকে সম্পৃক্ত করার দাবিও জানান রাসেল টি আহমেদ। তিনি আরও বলেন, “আজকে পুরস্কৃত সেরা প্রকল্পগুলো অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। আমরা তাদের গ্রুম করার চেষ্টা করি। বিগত বছরগুলোতে কয়েকটি ধাপে আমাদের বাংলাদেশী কোম্পানি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেখানে। আমরা বিশ্বাস করি যে, এবারও এপিকটা থেকে আমরা অ্যাওয়ার্ড নিয়ে আসবো।”
বেসিস সভাপতি আরও বলেন, “বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের মাধ্যমে আমরা সারাদেশের উদ্ভাবনী এবং সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবাগুলোকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাই করি এবং তাদেরকে স্বীকৃতি এবং উৎসাহ প্রদান করার লক্ষ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এইসব পণ্য ও সেবা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা প্রকাশ করে। এবারের আয়োজনে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কার্যকরী প্রকল্পগুলোকে বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।”
বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২২-এর আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বেসিস অ্যাডভাইজরি স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এম রাশিদুল হাসান। তাছাড়াও প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন বেসিস প্রেসিডেন্টস অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ এইচ কাফি, উপ- প্রধান বিচারক ছিলেন শাহ্ ইমরাউল কায়ীশ এবং সহ-আহবায়ক হিসেবে ছিলেন বেসিস অ্যাডভাইজরি স্থায়ী কমিটির সদস্য লিয়াকত হোসেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।