দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীত এলেই নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ বিশেষ করে যাদের কাশির সমস্যা রয়েছে তাদের বুকে কফ জমে সমস্যা সৃষ্টি করে। এই শীতে বুকে কফ জমলে কী করবেন?
শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রতিদিন তুলসী পাতার উপর ভরসা রাখতে পারেন। কীভাবে এই তুলসী পাতা ব্যবহার করলে পাবেন রেহাই?
শীতকাল অর্থই হলো নানা রকম শারীরিক সমস্যা। কারণ হলো গরম থেকে ঠাণ্ডা পড়ার এই সময়টা বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ যেমনিভাবে বাড়তে থাকে, তেমনি বাড়ে রোগ-জীবাণুর প্রকোপও। তাই চট করে ঠাণ্ডা লাগা, অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি, গলা খুসখুসে ভাব লেগেই থাকে। শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রতিদিন নিয়ম করে তুলসী পাতার উপর ভরসা রাখতে পারেন। ঘুম থেকে উঠেই কালো কফিতে চুমুক দেওয়ার পরিবর্তে চুমুক দিন ভেষজ এই চা’য়ে।
একটি পাত্র্রে পানি গরম করে আদা এবং তুলসী পাতা দিয়ে খানিকক্ষণ ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর পানিটি ছেঁকে একটি টিব্যাগ এবং এক চা চামচ মধু দিয়ে বানিয়ে ফেলুন এই ভেষজ চা।
প্রতিদিন সকালে তুলসী চায়ে চুমুক দিলে কী ঘটবে?
# শীতকাল এলেই অনেকের শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। অনেকের ঠাণ্ডা লেগে বুকে কফও জমে যায়। সকালে নিয়মিত এই চায়ে চুমুক দিলে অনেকটা আরাম পাবেন। সর্দি-কাশির সমস্যাও তখন দূর হবে।
# সাধারণ শীতকালে বাতের ব্যথা বাড়ে। এই পানীয়তে নিয়মিত চুমুক দিলে গাঁটের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।
# শীতকাল অর্থই হলো জমিয়ে ভূরিভোজ। বিয়ে বাড়ি, পিকনিক বা বড়দিনের ভোজ তো লেগেই রয়েছে। খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম মানেই বদহজমের সমস্যা দেখা দেওয়া। সেই সব সমস্যা দূর হবে তুলসী চায়ে চুমুক দিলে।
# পানি কম খাওয়ার কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে পেটে পাথর জমতে পারে। এই সমস্যায় ভুগলেও তুলসী চায়ে আরাম পারেন।
# স্বাভাবিকভাবেই শীতকাল এলে চুল এবং ত্বক দু’টিই শুষ্ক হয়ে যায়। তুলসী চা’য়ে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলো বেরিয়ে যায়। সে জন্য রক্ত পরিষ্কার হয়। ত্বকে র্যাশ, চুলকানির সমস্যা হতেও রেহাই পাওয়া যায়। চুলেও আসে জেল্লা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।