দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চোখ অমূল্য সম্পদ। এই চোখ ভালো রাখতে পৃথকভাবে কিছু করার প্রয়োজন নেই। প্রতি দিনের অভ্যাসে কিছু বদল আনলেই চোখের সংক্রমণ এড়িয়ে চলা সম্ভব।
কেমন পানি চোখের জন্য উপযুক্ত
শরীরের প্রতিটি অঙ্গেরই আলাদা করে যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এই কথা অনেকেই হয়তো জানেন। তবে দিনের শেষে পৃথকভাবে যত্ন নেওয়ার কথা খেয়াল থাকে না অনেকের। এদিকে দিনের বেশির ভাগ সময়ই ফোন কিংবা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়েই কাজ করতে হয়। তাই চোখের উপর চাপ একটু বেশিই পড়ে। চোখের চিকিৎসরা বলেছেন, দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে জ্বালা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাছাড়াও নিজের অজান্তেই এমন অনেক কাজ আমরা করে থাকি যা থেকে চোখে সমস্যাও হতে পারে।
গরম পানির ব্যবহার
মুখ ধোয়ার জন্য অনেকেই গরম পানি ব্যবহার করেন। তাদের ধারণা যে, গরম পানি ব্যবহার করলে বোধ হয় বেশি মাত্রায় পরিচ্ছন্ন থাকা যাবে। বর্তমানে আবার শীতকাল। গরম পানি না মিশিয়ে মুখ ধুতেই সমস্যা হয় অনেকেরই। তবে চোখের চিকিৎসকরা মনে করেন, এই অভ্যাস আদতেও চোখের ক্ষতিই করে। ঠাণ্ডায় কষ্ট করে হলেও সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চোখের পলক না ফেলা
চোখের পলক না ফেলে একদৃষ্টে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকেন অনেকেই। তবে পলক না ফেলা যদি আপনার দীর্ঘ দিনের অভ্যাস হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার চোখের উপর চাপ পড়বে আরও বেশি। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আপনাকে ঘন ঘন চোখের পলক ফেলার অভ্যাস করতে হবে।
কৃত্রিম প্রসাধনী ব্যবহার
অনেকেই চোখের আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলতে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। চোখে কৃত্রিম পলকের আঠা ব্যবহার কিংবা পলক প্রতিস্থাপন করলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা মনে করেন, এই সব প্রসাধনী ব্যবহার করলেও তা বেশিক্ষণ চোখে রাখা মোটেও ঠিক নয়।
চোখে মাস্ক নিয়ে ঘুমোনো
যারা ত্বক নিয়ে সচেতন, তারা চোখের নীচে বলিরেখা আটকাতে এক ধরনের বিশেষ মাস্ক ব্যবহার করেন। এই বিশেষ মাস্কগুলো সারা রাত চোখে লাগিয়ে রেখে দিতে হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাতে ঘুমোনোর সময় চোখে পৃথকভাবে কিছু না মাখাই ভালো।
চোখ রগড়ানো অভ্যাস
মনের ভুলে অনেক সময়ই চোখে অস্বস্তি হলেই আমরা হাত দিয়ে চোখ রগড়ে ফেলতে পছন্দ করি। হাত যদি অপরিষ্কার থাকে, তাহলে চোখে সংক্রমণ হওয়া কেও আটকাতে পারবে না। তাই চোখে কোনও অস্বস্তি হলেই চোখে হাত দেওয়া যাবে না মোটেও। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।