দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রস্রাবে মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধের একমাত্র কারণ কখনও পানি কম খাওয়া হতে পারে না। এর নেপথ্যে থাকতে পারে শারীরিক সমস্যাও। তবে কোন সমস্যাগুলো থাকলে মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধ হয় প্রস্রাবে?
প্রস্রাবে মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধ। এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হওয়া তো দূরে থাক, বেশির ভাগ মানুষ তা এড়িয়ে চলেন। পানি কম খাওয়ার কারণে হতে পারে অনুমান করে ও বিষয়টি নিয়ে ভাবনার পরিসরও কমে আসে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রস্রাবে ঝাঁঝালো গন্ধ মূলত অ্যামোনিয়ার কারণেই হয়ে থাকে। তবে কখনও কখনও প্রস্রাবের গন্ধ এতোটাই অসহনীয় হয়ে ওঠে যে, এটি আসলে শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে। দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাবের একমাত্র কারণই হলো কখনও পানি কম খাওয়া হতে পারে না। এর নেপথ্যে থাকতে পারে শারীরিক কোনও না কোনও সমস্যা। ঠিক কোন সমস্যাগুলো থাকলে মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধ হয়ে থাকে প্রস্রাবে?
# মূলত বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার কারণে মূত্রনালির সংক্রমণ হয়। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণই হতে পারে এই ব্যাক্টেরিয়া। তাই প্রস্রাব থেকে দুর্গন্ধ বেরোলে সতর্ক হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। তবে শুধু মূত্রের দুর্গন্ধই নয়, প্রস্রাব করার সময় জ্বালা অনুভব করা, বার বার প্রস্রাব পাওয়ার মতো একাধিক লক্ষণ দেখা দিলেই অতি জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের কাছে যান।
# ডায়াবিবেটিস শরীরে বাসা বাঁধলেও অনেক সময় এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগিরা অন্যদের মতো চিনি হজম করতে পারেন না। যে কারণে তাদের প্রস্রাব থেকে এমন দুর্গন্ধ বেরোনোর আশঙ্কাও থেকে যায়। সেইসঙ্গে ডায়াবেটিস হলে ঘন ঘন মূত্রত্যাগের প্রবণতা থাকে।
# প্রস্রাবে গন্ধ হওয়ার আরও একটি বড় কারণ হলো ‘সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন’। এই সংক্রমণ প্রস্রাব ও মূত্রাশয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাবও ফেলতে পারে। কখনও কখনও এই সংক্রমণের হাত ধরে মূত্রনালিতে প্রদাহও সৃষ্টি হয়, যা প্রস্রাবের গন্ধে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। তবে যৌনতার মাধ্যমে পরিবাহিত হওয়া ছাড়াও মূত্রনালির সংক্রমণ দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাবের কারণও হতে পারে।
# কিডনিতে পাথর জমলেও অনেক সময় প্রস্রাব থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে পারে। লবণ ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ জমা হয়ে পাথর সৃষ্টি করে। এই জমে থাকা উপাদানই দুর্গন্ধের অন্যতম কারণও হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।