দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা মনে করেন, প্রোটিনজাতীয় খাবারে ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি থাকে। তাই এই ধরনের খাবার রান্না করা ও সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়াটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
অনেকেই মুরগির মাংস খেতে ভালো বাসেন। তাছাড়া বর্তমান সময়ে মুরগীর মাংস ছাড়া অন্য মাংস কেনাও হয়ে ওঠে না। তাই যাদের কাজ থেকে বাড়ি ফিরে হঠাৎ রান্না করার শখ হয়। এতো রাতে তো বাজারে গিয়ে মুরগির মাংস আনা সম্ভব নয়। তাই ফ্রিজে মাংস রাখা হয় সাধারণত। আবার মাঝে-মধ্যে তো ফিরতে এতোটাই দেরি হয়ে যায় যে, রান্না করতেও ইচ্ছা করে না। তাই একদিন অনেকটা রান্না করে ফ্রিজে রেখেও দেন অনেকেই।
এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা মনে করেন, প্রোটিনজাতীয় খাবারে ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও সবচেয়ে বেশি। তাই এই ধরনের খাবার রান্না করা ও সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়াটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। না হলে খাবার থেকে পেটে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তবে কতোদিন পর্যন্ত এই মাংস এভাবে ফ্রিজে রাখা যাবে, তা কী আপনি জানেন?
আমেরিকার কৃষিবিভাগ (ইউএসডিএ) মনে করে, খুব বেশি হলে ১ থেকে ২ দিন পর্যন্ত কাঁচা মাংস ফ্রিজে রাখা উচিত। সেইসঙ্গে, রান্না করা মুরগির মাংস ফ্রিজে ৩ থেকে বড় জোর ৪ দিন পর্যন্ত রাখা যেতে পারে। যেহেতু ঠাণ্ডা, শীতল পরিবেশ ব্যাক্টেরিয়ার জন্য আদর্শ স্থান, তাই ফ্রিজে থাকা মাংসে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কাও বেশি থাকে।
ফ্রিজে কীভাবে রাখতে হবে মাংস?
কাঁচা মাংস ফ্রিজে রাখতে হলে বেছে নিতে হবে ছিদ্রহীন পাত্র। যাতে মাংসের গায়ে লেগে থাকা রক্ত, রস কোনওভাবেই ফ্রিজের অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে না পারে। রান্না করা খাবারের ক্ষেত্রে বায়ুরোধী কোনও পাত্রের মধ্যেও রাখতে পারেন ইচ্ছে করলে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।