দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের খুব বেশি ঘাম হয় না, তাদের যদি হঠাৎ করে ঘাম হতে শুরু হয়, তাহলে সেটি চিন্তার বিষয়। এমন হলে আপনি কখন সতর্ক হবেন? সেই বিষয়টি আজ জেনে নিন।
অবশ্য ব্যক্তি বিশেষে ঘাম হওয়ার পরিমাণ আলাদা। কেও কম ঘামেন, কারও আবার অতিরিক্ত ঘাম হয়ে থাকে। এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা শীতকালেও ঘামেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসেও অনেক সময় হাত-পা ঘেমে যায় অনেকের। তবে ঘাম নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামান না অধিকাংশ মানুষ।
অনেক সময় ঘাম অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। তবে অত্যধিক তাপমাত্রা ঘামের একমাত্র কারণ নয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে কোনও শারীরিক কসরত করলেও অনেকেই ঘেমে যান। তবে ঘাম আটকানোর কোনও উপায় কিন্তু নেই। শরীরের অতিরিক্ত পানি ও খনিজ পদার্থ ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ঘামের প্রধান কাজই হলো শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। শরীর ঠাণ্ডা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ঘাম। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে এবং ত্বকের জেল্লা বাড়াতে ঘাম সত্যিই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।
তবে যাদের খুব বেশি ঘাম হয় না, তাদের যদি হঠাৎ ঘাম হতে শুরু হয়ে যায়, তাহলে সেটি চিন্তার বিষয়। তাহলে কখন সতর্ক হবেন?
# অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে শরীরের ভিতরের কোনও দুর্বলতাও। তাই ক্লান্ত শরীরে প্রচণ্ড বেশি ঘাম হলে সতর্ক হওয়াটা জরুরি।
# ঘামের বিভিন্ন রকম কারণ থাকে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। থাইরয়েডের মাত্রা বাড়লেও ঘাম হয়। অতিরিক্ত ঘাম হৃদরোগেরও ইঙ্গিত হতে পারে।
# উদ্বেগের সমস্যা থাকলেও অতিরিক্ত ঘামের প্রবণতা দেখা দেয় অনেক সময়। সাধারণ কোনও কাজের সময় হাত-পা ঘামতে থাকে। আবার মাথাও ভিজে যায়।
# ক্যান্সার রোগীদের ঘাম হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। যে কারণে অতিরিক্ত ঘাম ভিতরের অবস্থা বুঝিয়ে দিতে শুরু করে দেয়।
# ঘামের সমস্যা হতে পারে হৃদরোগের সমস্যা থাকলেও। তাই ঘাম বেশি হলে শুরুতেই সতর্ক হওয়াটা প্রয়োজন। আর তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।