দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি ডাবের পানি এমনিতেই শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে অর্থাৎ ডায়াবেটিস রোগীদের এই পানীয় খাওয়া আদৌ কী ঠিক হবে?
সাধারণত নতুন কেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকরা প্রায় সব খাবার খাওয়াই বন্ধ করে দেন। আম খেতে প্রচণ্ড ভালোবাসেন অনেকেই। অথচ ডায়াবেটিসের কারণে এখন পর্যন্ত এক টুকরো আম দাঁতে কাটতে পারেন না ডায়াবেটিস রোগীরা। শুধু কী আম, রোদ থেকে ফিরে যে এক গ্লাস ডাবের পানি খাবেন, তারও উপায় থাকে না। তবে ডায়াবেটিস থাকলে কী সত্যিই ডাবের পানি খাওয়া যায় না?
অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দে থাকেন। ডাবের পানি এমনিতেও শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে এই পানীয় খাওয়া আদৌ স্বাস্থ্যকর হবে কি না সেটি নিয়ে রয়েছে শংসয়। এই বিষয়ে চিকিৎসকরা অবশ্য বলেছেন, ডায়াবেটিস থাকলে ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে। বরং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এই পানীয়টি।
# ডাবের পানিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) অনেক কম। যেসব খাবারে জিআই কম, সেসব জিনিস ডায়াবেটিক রোগীরা খেতেই পারেন। যে কারণে ডাবের পানি ক্ষতি করবে না। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও বেশি বাড়তে দেয় না এই পানীয়টি।
# তাছাড়া ডাবের পানিতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিমায়, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানা উপকারী উপাদান। রক্তে শর্করার মাত্রা বিপদসীমা পেরোতে দেয় না এইসব উপাদানগুলো।
# সাধারণত হজমজনিত সমস্যা থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বশে রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাই প্রথমে হজমের গোলমাল সারিয়ে তোলাটা জরুরি। এই ক্ষেত্রে ডাবের পানি বেশ সাহায্য করতে পারে। পেটের খেয়াল রাখে ডাবের পানি। বিপাকহারও উন্নত করে।
# আবার দেখা যায় ডায়াবেটিস হলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে ডাবের পানি কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও, এই পানীয়তে ক্যালোরিও বেশ কম থাকে। বায়োএনজাইমে সমৃদ্ধ ডাবের পানি ওজন বাড়তে বাধা দেয়। তাই শর্করার পরিমাণ কমাতে ডাবের পানি খেতে পারেন অনায়াসে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।