দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্যকর বাড়ির খাবার খেয়েও শরীর খারাপ হতে পারে শুধু রান্নাতে ভুলের কারণে। সেখান থেকেই শরীরে বাঁধে হাজার রকমের গোলমাল। কোন ভুলগুলো তাহলে এড়িয়ে চলবেন?
বাঙালিদের পেটের গোলমাল নতুন কিছু নয়, চিরদিনের। বাইরের খাবার খেয়ে পেটের সমস্যা হলে তা-ও মেনে নেওয়া যায়, তবে বা়ড়ির হেঁশেলে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরেও যদি বদহজম-গ্যাস হয়, তাহলেই মুশকিলের বিষয়। নিজের হাতে রান্না করা খাবার খেয়েও যদি পেটের সমস্যাতে আপনাকে ভুগতেই হয়, তারচেয়ে খারাপ কোনও বিষয় হতে পারে না। তবে অনেকেরই জানা নেই যে, বাড়ির খাবার খেয়েও শরীর খারাপ হতে পারে শুধুমাত্র রান্নার ভুলের কারণে। সেখান থেকেই শরীরে বাঁধে হাজার রকম গোলমাল। কোন ভুলগুলো তাহলে এড়িয়ে চলবেন?
# পেঁয়াজ হলো আমিষ রান্নার অন্যতম একটি উপকরণ। পেঁয়াজ ছাড়া মাছ, মাংস রান্নার কোনও মানেই নেই। রান্নায় পেঁয়াজ বেটে দেওয়ার পাশাপাশি ভেজেও দেন অনেকেই। সেখানেই ভুলটা করেন। অনেকেই পেঁয়াজ বেশি ভেজে ফেলেন। সেটা করলে কিন্তু চলবে না। বাদামি হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ ভাজার কোনোই দরকার নেই। তাতে রান্নায় স্বাদ এলেও হজমের সমস্যা হতেই পারে।
# অনেকেই রান্নায় চিনির বদলে মধু ব্যবহার করেন। অথচ পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন এই অভ্যাস মোটেও ঠিক নয়। মধু খাওয়া ভালো তবে সেটি রান্নায় দিলে মোটেও চলবে না। মধু তুলসী পাতার সঙ্গে বা শুধু খেতে পারেন, তবে কখনও রান্নায় দেবেন না। মধু ফুটিয়ে খেলে তার ধরন বদলে যাবে। তাতে পেটের গোলমালও হতে পারে।
# কলার স্বাস্থ্যগুণের শেষ নেই। সব ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান ভরপুর পরিমাণে রয়েছে কলাতে। তবে কলা খেলে অনেকেরই গ্যাস-অম্বলও হয়। কালচে দাগ থাকা কলা খেলে এমন হতেই পারে। আসলে কলা অনেক সময় স্বাভাবিক নিয়মে পাকেও না। কৃত্রিমভাবে পাকানো হয়ে থাকে। শরীরের পক্ষে সেটি মোটেও ভালো নয় বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org