দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডালে একটু মৌরি ফোড়ন না দিলে স্বাদ কিন্তু ঠিক আসে না। তবে রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও যে মৌরির আরও অনেক গুণ রয়েছে, সে সম্পর্কেই সাধারণত আমরা সচেতন নই।
নিয়মিত মৌরি খেলে শরীরের উপকার যেমন হবে, সেইসঙ্গে অনেক রোগ থেকেও বাঁচায় মৌরি। এই মৌরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই শরীর সুস্থ রাখতে দিনে এক টেবিল চামচ মৌরি খাওয়া যেতেই পারে। জেনে নিন, নিয়ম করে মৌরি খেলে কী কী উপকার হবে শরীরে?
# অতিরিক্ত গুরুপাক খাওয়া হয়ে গেলেই খান মৌরি। তাড়াতাড়ি খাবার হজম করতে সাহায্যও করে মৌরি। অম্বলের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ধাত থাকলেও মৌরি খেলে উপকার পেতে পারেন।
# মৌরিতে আরও রয়েছে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা পেটের সমস্যা কমাতেও সহায়তা করে। এমনকি পেটে কোনও সংক্রমণ দেখা দিলেও তা থেকে বাঁচাতে পারে এই মৌরি।
# শরীর গরম হয়ে গেলে শরীর ঠান্ডা করতে মৌরি মিছরির পানি খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মৌরি এবং মিছরি সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে সেই পানি খেতে হবে।
# মৌরি ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়ায়, এটা কী আপনি জানতেন? ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ হলেও মৌরি খান। চোখের দৃষ্টিও অনেকদিন ভালো থাকবে মৌরি খেলে।
# অনেকেই নি:শ্বাসের দুর্গন্ধ নিয়ে সমস্যায় পড়েন। সব সময় মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করাও কিন্তু তো ঠিক নয়, বরং সঙ্গে রাখতে পারেন মৌরি। এতে থাকা অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান মুখের মধ্যে অবস্থিত জীবাণুর সঙ্গে যুদ্ধও করতে পারে। যে কারণে মৌরি মুখে দিলে নি:শ্বাসের দুর্গন্ধও দূর হবে এই মৌরির গুণে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org