দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাজের মধ্যেই কাঁধে ব্যথা। বা ঘুম থেকে উঠেই ঘাড়ে যন্ত্রণা। এমন হতেই থাকে প্রায় সময়। তবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছটফট না করে দু’-তিনটিব্যায়ামেই পেতে পারেন সমাধান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চেয়ারে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার কারণেই ক্রমশ ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠের মাংসপেশিতে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের সমস্যা। তবে তারা এই সমস্যামুক্তির উপায় বলে দিয়েছেন। কয়েকটি ব্যায়ামেই পেতে পারেন আরাম। খুব সহজেই কমবে কাঁধের ব্যথা।
প্রথম ব্যায়াম
প্রথমে হাতদু’টি মাটির সমান্তরাল করে উপরের দিকে তুলুন। একইসঙ্গে আপনার কাঁধ নীচের দিকে ঠেলতে ঠেলতে তারপর পিছনের দিকে প্রসারিত করুন। তারপর হাতদু’টি সোজা রেখে মাথার উপরে তুলুন। আপনার কাঁধ ভিতরের দিকে চেপে তারপর কনুই সোজা করুন। মনে মনে ১০ পর্যন্ত গুণে নিয়ে তারপর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
দ্বিতীয় ব্যায়াম
আপনি চেয়ারে বসার সময় একটু সামনের দিকে আসুন। এবার শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গ কিছুটা ডানদিকে সরান। এই অবস্থায় নিজের কাঁধ কিছুটা হলেও ভিতরের দিকে চেপে নিয়ে মনে মনে ৫ গুনে পূর্বাবস্থায় ফিরে আসুন। আবার বাঁ দিকেও ওই একই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি করুন। তবে এই সময় কোনওভাবেই নিজের হাঁটু নড়াবেন না।
তৃতীয় ব্যায়াম
আপনার দেহের ওজন দুই পায়ের উপর সমানভাবে ভাগ করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। তারপর নিতম্ব ও দুই কাঁধ একসঙ্গে চেপে নিয়ে দেহের সম্পূর্ণ ওজন এক পায়ে স্থানান্তরিত করে অপর পা হাঁটু হতে উপরে তুলুন। এই পর্বে উরু যেনো মাটির সমান্তরালে থাকে। এক থেকে ৫ পর্যন্ত গুনে নিয়ে স্বাভাবিক অবস্থাতে ফিরে আসুন। অপর পা দিয়ে আবার একই পদ্ধতির অনুসরণ করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org