দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহের উদ্দেশ্যে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার আরও ১৩০ জনকে মুক্তি দিলো দখলদার ইসরায়েল। তাদেরকে জর্ডানের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই ১৩০ জনের মধ্যে বাহরাইন, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, লিবিয়া, ওমান, কুয়েত, পাকিস্তান, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, কলম্বিয়া, চেক রিপাবলিক, জাপান, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ওউরুগুয়ের নাগরিক রয়েছেন।
জর্ডানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পেত্রা নিউজ জানিয়েছে যে, দেশটির পররাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে ১৩০ অধিকারকর্মীকে গ্রহণ এবং তাদের প্রয়োজনীয় সেবা দিয়েছে।
আটক এইসব অধিকারকর্মী জানিয়েছেন যে, জাহাজ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি বিশ্বব্যাপী পরিচিত পরিবেশবাদী গ্রেটা থুনবার্গকেও ছাড়েনি দখলদার বাহিনী। তাকে জোরপূর্বক ইসরায়েলি পতাকা গায়ে জড়িয়ে ছবি তুলতে বাধ্য করেছে। এ ছাড়াও গ্রেটাকে পর্যাপ্ত খাবার এবং পানি দেয়নি তারা।
উল্লেখ্য যে, ৪২টি জাহাজে করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০০ অধিকারকর্মী ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দিকে রওনা দেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল গাজায় ইসরায়েলের অবৈধ নৌ অবরোধ ভাঙা এবং সেখানকার মানুষের কাছে ত্রাণ পৌছে দেওয়া।
তবে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে সবগুলো জাহাজ আটক করেছে দখলদার ইসরায়েল। জাহাজগুলোতে থাকা অধিকারকর্মীদের আসোদ বন্দরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোর বাহিনী।
ইতিপূর্বে, জর্ডানে ১৩০ জনকে পাঠানোর আগে আরও কয়েকশ অধিকারকর্মীকে তুরস্ক এবং ইতালিতে পাঠিয়েছে ইসরায়েল।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org