দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিএনপির চেয়ারপারসন ও ১৮ দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের রাজধানীমুখী ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে হবে শান্তিপূর্ণ। এ কর্মসূচিতে বাধা দিলে তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। ২৯ তারিখে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা শংকা।
বড়দিন উপলক্ষে গতকাল বুধবার রাতে নিজের কার্যালয়ে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে খালেদা জিয়া এ মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি তফসিল স্থগিত করে আলোচনার মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, ‘সরকারকে বলব, সাহস থাকলে কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না। আমাকেও বাধা দেবেন না। বাধা দিলে বুঝব সরকার কত দুর্বল।’
খালেদা জিয়ার আশঙ্কা সরকার তাঁদেরকে কর্মসূচি করতে না-ও দিতে পারে, তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখতে পারে। সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, এমনটি করা হলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ, কঠিন ও করুণ।
সরকারকে আলোচনায় আসার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশের কল্যাণ চাইলে জেদ ও প্রতারণা ছেড়ে তফসিল স্থগিত করে নতুন করে আলোচনা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।’
সংবিধান সংশোধন করে, সংসদ ভেঙে দিয়ে, বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের যে ফর্মুলা দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ১৮ দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
এদিকে নির্বাচনের জন্য একদিকে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচন সফল করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে প্রধান বিরোধী দলসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এমন এক পরিস্থিতিতে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের খুব কাছাকাছি অবস্থায় এসে ২৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোট ঢাকা অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দেশবাসীকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে ২৯ ডিসেম্বর তা নিয়েই এই শংকা।