দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন বিজ্ঞাপনের কথা আমরা আগে কখনও শুনিনি। অনলাইনে এবার ভূত বিক্রির বিজ্ঞাপন! এমন কথা শুনে আপনি কী থমকে গেলেন?
বিজ্ঞাপনটির ভাষা ছিলো ঠিক এমন- ‘আমি একটি ভূত বিক্রি করতে চাই। এই পুরুষ ভূতটিকে আমি একটি পুরনো কাঠের বাক্স কিনতে গিয়ে পেয়েছিলাম। ওই বাক্সের ভিতরেই সে সব সময় থাকে। আমি যে ঘরেই বাক্সটাকে রাখি না কেনো, সে ওই ঘরে গিয়েই ওঠে! আমি বাক্সটাকে যতোই লুকিয়ে রাখি না কেনো, সে আবার খুঁজে বের করে। আর খুঁজে না পেলে ঝামেলা বাধায়। বাক্স এবং ভূতের সামগ্রিক দাম মাত্র ৩০০ ডলার। ক্রয় করতে আগ্রহীরা দ্রুত ই-মেইল করুন।’
উপরোক্ত বক্তব্যটি ছিলো বিজ্ঞাপনের ভাষা। একটি নামকরা ই-কমার্স সাইটে বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিজ্ঞাপনদাতা একটি ছবিও দিয়েছেন সেই বাক্সের।
কিন্তু কে বা কারা সেই বিজ্ঞাপন দেখে ক্রেডিট কার্ড ঘষেছেন তা জানা না গেলেও এই বিজ্ঞাপনের কমেন্ট বক্স-এ তুলকালাম শুরু হয়েছে। কেও কেও প্রশ্ন করেছেন আলোচ্য ভূতটির চরিত্র সম্পর্কে, কেও বা জানতে চেয়েছেন তার সাইজ কতো? ইত্যাদি ইত্যাদি।
সে কারণেই হয়তো বিজ্ঞাপনদাতা বিরক্ত হয়ে ভূতের দাম বাড়িয়ে ১০০০ ডলার করে দিয়েছেন। তিনি ভূতের ‘ছবি’ও পোস্ট করেছেন।
জনগণের প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি এও জানান, ভূতটি ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি কিংবা ৬ ফুট লম্বা। ঘরে প্রবেশ করলেই সে একটা কালো কুয়াশার আকৃতির রূপ নেয়। ভালো করে দেখলেই বোঝা যায়, সে একটা কালো জিনিস পরে রয়েছে, তবে তার গায়ে কোনো জামা নেই।
বিজ্ঞাপনদাতা আরও জানান যে, তিনি ভূতের ভিডিও তুলতে চাইলে কোনো ফল হয়নি। ভিডিওতে ভূত ধরা দেয়নি। কেবলমাত্র তার স্টিল ছবি তোলা গেছে! সেগুলোই তিনি বিজ্ঞাপনে দিয়েছেন। তবে তার মুখ তিনি কখনওই দেখতে পাননি। তার শরীর যে বেশ স্বচ্ছ, তা বুঝতে পেরেছেন তিনি। কিছু নিজস্ব ব্যক্তি-বিশেষজ্ঞ বন্ধুবান্ধব তার বাসায় এসে পরখ করে গিয়েছেন এইসব ভুতুড়ে কাজ-কারবার!
এই বিবৃতি প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই নাকি বিজ্ঞাপনদাতা জানান, জনৈক প্যারানর্মাল-সন্ধানী বাক্সসহ এই ভূতটিকে কিনে নিয়েছেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই ‘ভুতুড়ে’ বিজ্ঞাপনের আগা-গোড়া কিছুই বোঝা যায়নি।