দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৃত্যুর এতোবছর পর মাহাত্মা গান্ধীর খুনি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তথ্যের অধিকার আইনে খুনি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন ওড়িশার হেমন্ত পাণ্ডে নামক এক ব্যক্তি।
মহাত্মা গান্ধীর তিন হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে কী উদ্যোগ নিয়েছিলো দিল্লি পুলিশ? তথ্যের অধিকার আইনে বিষয়টি জানতে চেয়েছিলেন ওড়িশার হেমন্ত পাণ্ডে নামক এক ব্যক্তি। সেই বিষয়েই উত্তর চেয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে এই প্রশ্ন পাঠিয়ে দিয়েছে দেশটির জাতীয় তথ্য কমিশন।
মহাত্মা গান্ধীর জীবন এবং হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষণারত হেমন্ত পাণ্ডে মোট ৩টি বিষয় জানতে চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে। পালিয়ে যাওয়া তিন অভিযুক্ত গঙ্গাধর দাওয়াতে, সূর্য দেব শর্মা এবং গঙ্গাধর যাদবকে ধরতে ঠিক কী উদ্যোগ নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। কেনো বাকি দুই অভিযুক্তকে ছাড় দেওয়া হয়েছিলো। যে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিলিপি কোথায়? কোথায়ই বা নাথুরাম গডসের ফাঁসির নির্দেশের লিখিত প্রতিলিপি!
জাতীয় তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচার্যালু বলেছেন, ‘এনআইএ-এর কাছে যখন জানার চেষ্টা করা হয়েছে, তারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে তেমন কিছুই নেই। প্রশ্নের কোনো উত্তরও তাদের কাছে থাকা সম্ভব নয়, এটিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যগুলি কেনো নেই, দিল্লি পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য ঠিক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, এসব তথ্যও এখানে থাকা সম্ভব নয়। সবই বলতে পারবে কেবলমাত্র পুলিশ। ’ এই তথ্য সামনে আসার পরেই তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চাওয়া প্রশ্নগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশের নিকট। বিষয়টি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এতোদিন পর প্রশ্নটি সামনে এসেছে আবার সেই প্রশ্নের কোনো উত্তরও পাওয়া যাচ্ছে না।