বুধবার রাতে ম্যাচের শেষদিকে গিয়ে পাওলিনহোর গোলে উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে কনফেডারেশন কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। ম্যাচটি অবশ্য মোটেও শ্বাসরুদ্ধকর হয়নি। ঘরের মাঠের দর্শকে ভরা গ্যালারির প্রত্যাশার চাপে ন্যুব্জ লেগেছে ব্রাজিলকে। প্রথমার্ধের ১৪ মিনিটে গিয়েই উরুগুয়েকে পেনাল্টির সুযোগ দিয়ে বসে ব্রাজিল। সেলেকাওদের সেন্টার হাফ ডেভিড লুইজ উরুগুয়ের ডিয়েগো লুগানোকে বক্সের ভেতর ফেলে দিলে শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ পায় উরুগুয়ে। কিন্তু উরুগুয়ান তারকা ফোরলানের নিচু পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক হুলিও সিজার, দর্শকরা ফেটে পড়ে উল্লাসে।
বিরতির কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য প্রথম গোলের দেখা পেয়ে যায় ব্রাজিল। ৪১ মিনিটে উরুগুইয়ান ডিফেন্সের ওপর দিয়ে দুর্দান্ত এক চিপে বল নেইমারের কাছে পাঠান পাওলিনহো, নেইমার বলটা বুক দিয়ে দারুণভাবে কন্ট্রোল করে শট নেন গোলে। উরুগুইয়ান কিপার ফার্নান্দো মুসলেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটি কোনমতে ঠেকিয়ে দিলেও শেষরক্ষা হয়নি, কাছেই থাকা ফ্রেড বলটি জোরালো শটের সাহায্যে জড়িয়ে দেন জালে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ৩ মিনিটের মাথাতেই সেই গোল পরিশোধ করে সমতা আনে উরুগুয়ে। ব্রাজিলের ডিফেন্সের ভুলে বল চলে যায় কাভানির পায়ে, উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার নিচু শটে সিজারকে পরাস্ত করে বল জড়িয়ে দেন বাঁ দিকের জালে।
এরপর দুইপক্ষই এগিয়ে যাওয়ার লড়াই চালালেও কেউই সফলতার মুখ দেখছিল না। ৬৬ মিনিটে লাফিয়ে উঠে লুইস সুয়ারেজের করা দুর্দান্ত হেডার অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন সিজার। দুমিনিট পরেই নেইমার চমৎকার ড্রিবল করে ভেতরে ঢুকে বল দেন বক্সের মাথায় একলা দাঁড়ানো ফ্রেডকে, কিন্তু তার শট চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।
অবশেষে ৮৬ মিনিটে গিয়ে আবার গোলের দেখা পায় ম্যাচ। নেইমারের কর্নার থেকে ব্যাকপোস্টে পাওলিনহোর হেডে মুসলেরা পরাস্ত হলে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এরপর অতিরিক্ত সময় সহ ৫ মিনিটে সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি উরুগুইয়ানরা।
রোববার ফাইনালে ব্রাজিল মুখোমুখি হবে আজ স্পেন বনাম ইতালির ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে।