দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদার্থবিজ্ঞানী লিয়ন লেডারম্যান। পদার্থবিদ্যায় নোবেল সম্মান পান ১৯৮৮ সালে। তবে জীবনের শেষ সময় এসে চিকিৎসার খরচ যোগাতে সেই নোবেল পদক নিলামে তুলতে হয় তাকে!
শেষ বয়সে দীর্ঘদিন ধরে ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছিলেন এই নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী। ৯৬ বছর বয়সে রেক্সবার্গের আইডাহো শহরের একটি হাসপাতালে মারা যান সেই নোবেল বিজয়ী। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও বিশ্ববাসীদের জন্য রেখে গেছেন হিগস-বোসন নিয়ে তার ব্যাখ্যা করা মহামূল্যবান তত্ত্ব।
নিউইয়র্ক শহরে ১৯২২ সালে জন্ম নেন লেডারম্যান। তাঁর বাবার একটি ধোপাখানা ছিল। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া এই বিজ্ঞানী রসায়নে স্নাতক পাশের পরেই সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং অংশ নেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। যুদ্ধ হতে ফিরে এসে পুনরায় পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। ১৯৫১ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাব-অ্যাটমিক পার্টিকল নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে ‘মিউয়ন নিউট্রিনো’ নামে একটি সাব-অ্যাটোমিক পার্টিকল আবিষ্কার করার জন্যই পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান লেডারম্যান। তবে পরবর্তী সময়ে ডিমেনশিয়া রোগ ধরা পড়ার পর নোবেলের সেই সোনার পদক ২০১৫ সালে ৭ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে বিক্রি করে দেন তিনি!
পদক বিক্রির পর লেডারম্যান-পত্নী বলেছেন, নোবেল সম্মান তিনি ভোগ করে গেছেন। তাঁর ইচ্ছে, বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর অগাধ ভালবাসা, সকলের জন্যই সম্পদ হয়ে থাকুক- সেটিই কাম্য।