দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান নতুন এক ওয়েব ব্রাউজার আনলো। এই ব্রাউজারের নাম ‘সালামওয়েব’। এই ব্রাউজারকে মুসলিম বান্ধব ব্রাউজার হিসেবে দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান নতুন এক ওয়েব ব্রাউজার আনলো। এই ব্রাউজারের নাম ‘সালামওয়েব’। এই ব্রাউজারকে মুসলিম বান্ধব ব্রাউজার হিসেবে দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন এই ব্রাউজারটিকে বলা হচ্ছে ‘হালাল ইন্টারনেট’! এই ব্রাউজারে মূলত ইসলামি মূল্যবোধের সমন্বয় করা হয়েছে। অনলাইনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনসহ নানা আশঙ্কার মধ্যে নতুন এই ব্রাউজার দারুণভাবে কাজে দেবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নতুন এই সালামওয়েব ব্রাউজার মোবাইল ও ডেস্কটপ কম্পিউটারেও ব্যবহার করা যাবে। নতুন এই ব্রাউজার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সালাম ওয়েব টেকনোলোজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনি জারিনা মোহাম্মদ খান বলেছেন, এতে সংবাদ, মেসেজ এবং অন্যান্য সুবিধা যুক্ত রয়েছে। মূলত মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক বিষয়াদি বেশি পাবেন এর গ্রাহকরা। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলিম জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশকে গ্রাহক হিসেবে পাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এই ব্রাউজার তৈরি করতে গিয়ে তারা ফেসবুক-গুগলের মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও তাদের এই নতুন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে।
এই বিষয়ে হাসনি জারিনা মোহাম্মদ খান বলেন, তাদের লক্ষ্য হলো ইন্টারনেট প্ল্যাটফরমকে একটি ভালো স্থান হিসেবে তুলে ধরা। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি ইন্টারনেটে ভালো এবং মন্দ—উভয় ধরনের কনটেন্ট থাকে। আমাদের ব্রাউজারটি এমন করে তৈরি করার চেষ্টা আমরা করেছি, যাতে মানুষজন ভালো কনটেন্টগুলোই কেবল পান।’ তিনি আরও বলেন, এই ব্রাউজার কনটেন্ট ফিল্টারিং করবে। পর্নোগ্রাফি কিংবা জুয়ার কোনো ওয়েবসাইটে ঢোকার চেষ্টা করলে সতর্ক করে দিবে গ্রাহককে। তাছাড়া মুসলিমদের ধর্মচর্চা সহজ করার জন্য নামাজের সময় জানিয়ে দেওয়ার মতো বিষয়গুলোও থাকবে এই ব্রাউজারে!
সালাম ওয়েব টেকনোলোজিস প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনি জারিনা মোহাম্মদ খান আরও বলেন, ‘আমরা মুসলিমদের টার্গেট করে এই নতুন ব্রাউজার তৈরি করলেও আমাদের লক্ষ্য হলো সর্বজনীন মূল্যবোধকে আরও উৎসাহিত করা। তাই যে কেও এটি ব্যবহার করতে পারবেন। ইন্টারনেট দিনকে দিন ক্ষতিকর হয়ে উঠছে- তাই আমাদের বিকল্প কিছুর প্রয়োজন ছিলো, আমরা চেষ্টা করছি এটিকে গ্রাহকদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে।’