দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি মৃত্যু অবধারিত একটি বিষয়। সেই অবধারিত মৃত্যু সম্পর্কে বিস্ময়কর কয়েকটি তথ্য আজ রয়েছে দি ঢাকা টাইমস্ এর পাঠক-পাঠিকাদের জন্য!
আমরা সবাই জানি মৃত্যু অবধারিত একটি বিষয়। বলা হয়ে থাকে যে, যার প্রাণ আছে তাকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর এই মৃত্যু যখন আসে তখন কারও পক্ষেই সেটিকে রোধ করা সম্ভব নয়। সেই অবধারিত মৃত্যু সম্পর্কে বিস্ময়কর কয়েকটি তথ্য আজ রয়েছে দি ঢাকা টাইমস্ এর পাঠক-পাঠিকাদের জন্য!
কথায় বলা হয়ে থাকে, প্রাণ যার আছে- মৃত্যু তার নিশ্চিত। মৃত্যুর হতে অনিবার্য সত্য আর কিছুই হতে পারে না। আমরা মৃত্যুকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের ব্যাখ্যা শুনে থাকি। কেও কেও আবার মৃত্যুকে ঘিরে রচনা করেন রোম্যান্স কোনো গল্প-প্রবন্ধ। কেও বা আবার মৃত্যুকে একটা ভয়ের ব্যাপার বলেই ধরে নেন। এসবের ঊর্ধ্বে মৃত্যুর প্রসঙ্গ উঠলে কেমন একটা বিভ্রান্ত বা নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে থাকেন অনেকেই।
আজকের এই প্রতিবেদনটিতে মৃত্যু সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য দেওয়া হলো যা আমাদের অনেকেরই অজানা।
# পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষ মারা যান হৃদরোগে!
# আবার কম বয়সী পুরুষদের অধিকাংশই নাকি মারা যান দুর্ঘটনায়!
# সন্তান প্রসব করতে গিয়ে অল্পবয়সী মহিলাদের অধিকাংশই মারা যান!
# প্রতি সেকেণ্ডে যতো শিশুর জন্ম হয়, তার দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ প্রতি সেকেণ্ডে মারা যায়!
# একজন মানুষের মৃত্যুর ৪ ঘণ্টা পরে দেহের পেশিগুলিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে সংকোচন ঘটে। তখন দেহ শক্ত হতে আরম্ভ করে। একে ‘রিগর মর্টিস’ বলা হয়। তবে ৩৬ ঘণ্টা পর রিগর মর্টিস আবার উধাও হতে শুরু করে!
# একজন মানুষ মৃত্যুর পরে অগ্ন্যাশয় এবং পাচনতন্ত্রের অন্যান্য অংশ হজমের সহায়ক এনজাইমে পূর্ণ হয়ে যায়। এতে করে ওই অঙ্গগুলিই ‘হজম’ হয়ে যেতে শুরু করে। তারপর পুরো দেহতেই এই প্রক্রিয়াটি ছড়িয়ে পড়ে। এর নাম হলো ‘অটোলাইসিস’।
# বলা হয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মৃতদেহে লেগে থাকা পোকার চরিত্র দেখেই মোটামুটিভাবে বলতে পারেন যে মৃত্যু ঠিক কতোক্ষণ বা কতোদিন পূর্বে ঘটেছে।
# মৃত্যুর পর আর নখের বৃদ্ধি ঘটে না।
# আমরা সবাই প্রতিদিনই ‘খানিকটা করে মারা যাচ্ছি’। প্রতিদিন দেহে প্রায় ৫০ বিলিয়ন কোষের মৃত্যু ঘটে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।