দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাত্র ক’দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। নিজের পছন্দের ঈদের পোশাক কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন নামিদামি সব শপিংমলে। ঈদ শপিংয়ে গিয়ে ট্রায়াল রুমের গোপন ক্যামেরা হতে সাবধান!
রেডিমেট পোশাক কিনতে যারা শপিংমলে যান তারা সাধারণত ট্রায়াল রুমে ট্রায়াল দিয়ে পোশাক কিনেন। কারণ শখের যে পোশাক আপনি কিনছেন সেটি আপনার পরনে ঠিকমত না হলে বিপাকে পরতে হবে।
বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে রেডিমেট পোশাক কেনা এবং ট্রায়াল রুমের গোপন ক্যামেরা থেকে সাবধান হওয়া দরকার। কারণ আপনার সামান্য অসাবধনতার কারণে আপনি বড় ধরনের বিপাকে পড়তে পারেন। তাই ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরার বিষয়ে সর্তক হোতে হবে।
বিভিন্ন ট্রায়াল রুমে আপনার অজান্তেই ক্যামেরা লুকিয়ে রাখার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বহুবার। এ ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নারীরা।
আজ আসুন জেনে নেই কীভাবে বুঝবেন ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা রয়েছে।
আয়না বা গ্লাস পরীক্ষা করবেন যেভাবে
কোনও প্রাইভেট প্লেসে গেলে প্রথমেই সেখানকার আয়না বা গ্লাস পরীক্ষা করে দেখুন। দেখবেন আয়নাটি কীভাবে বসানো রয়েছে। আয়নাটি দেওয়ালে ঝোলানো, নাকি দেওয়ালে লাগানো? নাকি দেওয়ালের সঙ্গে একেবারে খোদাই করা অবস্থায় রয়েছে? টু ওয়ে মিরর বা একপাশে আয়না ও অন্য পাশে স্বচ্ছ এমন গ্লাসগুলো সাধারণত দেওয়ালে একেবারে খোদাই করা অবস্থাতে থাকে।
আয়নাতে টোকা দিবেন যেভাবে
পরীক্ষা করার জন্য আপনার আঙুলের গিঁট দিয়ে আয়নাতে টোকা দিন। আয়না যেহেতু দেওয়ালে বসানো রয়েছে, সুতরাং নরমাল আয়না হলে তা সাধারণ ফ্ল্যাট আওয়াজ করবে। তবে টু ওয়ে মিরর হলে আয়নায় আঘাত করলে ফাঁপা শব্দ শোনা যাবে।
আয়নার ভেতর খুব কাছে থেকে তাকিয়ে দেখুন
যদি এটি টু ওয়ে মিরর হয় তাহলে আয়নার কাছে চোখ নিয়ে তাকালে আয়নার অন্য সাইডও দেখা যাবে। আপনার মুখ আয়নাতে চেপে ধরুন ও হাত দিয়ে মুখের সাইডে এমনভাবে ব্লক করুন যাতে কোনো আলো আয়নাতে না পড়ে। এটা টু ওয়ে মিরর হলে আয়নার অপর পাশে কী রয়েছে আপনি তা (অস্পষ্ট হলেও) দেখতে পারবেন।
মোবাইল লাইট ব্যবহার করুন
কোনো ফ্লাশ লাইট বা সেলফোনের লাইট কিংবা টর্চলাইটের আলো ফেলুন আয়নার ওপর। আয়নার খুব কাছে থেকে আলোটি ফেলতে হবে। সম্ভব হলে ঘরের অন্য লাইট বন্ধ করে দিন, শুধু আপনার হাতের ওই আলোটি ছাড়া। এটা টু ওয়ে মিরর হলে, অন্য পাশে কী রয়েছে তা দেখা যাবে।
এবার নখ দিয়ে পরীক্ষা করুন
টু ওয়ে মিরর পরীক্ষা করার সবথেকে দুর্বল পদ্ধতিটি হলো নখ দিয়ে পরীক্ষা করা। এর ফলাফলটি নিখুঁত নাও হতে পারে। তবে এই পদ্ধতিও জেনে রাখা দরকার।
এবার ব্যবহার করুন সেলফোন
সিকিউরিটি ক্যামেরা বা গোপন ক্যামেরা থেকে এক ধরনের ফ্রিকোয়েন্সি আসে যেটি মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়। যদি কোনো জায়গায় বা রুমে আপনি দেখেন যে আপনার মোবাইল ফোন সার্ভিস দিচ্ছে না এবং আপনার নজরে কোনো ক্যামেরাও পড়ছে না, তাহলেই মনে করবেন সেখানে কাছাকাছি কোথাও গোপন ক্যামেরা রয়েছে।