দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সব রোগের ওষুধ হলো কালোজিরা। একাধিক আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণে সমৃদ্ধ রয়েছে এই কালোজিরায়। করোনায় কালোজিরার কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন।
কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম হলো Nigella Sativa Linn। পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন, কালোজিরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফেট, ফসফরাস ও আয়রণ, যা দেহের জন্য অতি উপকারী। করোনার এই সময় তাইতো কালোজিরাও হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য বড় উপকারী।
কালোজিরার কয়েকটি উপকারীতা জেনে নিন:
# কালোজিরায় থাকা ফসফরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরে যে কোনো জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতেও কালোজিরা খেতে পারেন। তাই করোনা প্রতিরোধেও রাখতে পারে ভূমিকা।
# সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, গলাব্যথা এবং জ্বর হলে খেতে পারেন কালোজিরা। শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেও কালোজিরা উপকারী একটি জিনিস।
# সেক্স হরমোন ক্রিয়াকলাপ এবং নিউরোজেনারেটিভ কার্যকারিতাও বাড়ায় কালোজিরা।
# রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে করোনা রোধে শরীরকে তৈরি করুন কালোজিরা খেয়ে।
# এক চা চামচ কালোজিরা বাটা, সমপরিমাণ আদার রস এবং মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার খেতে পারেন। এ ছাড়াও সকালে খালি পেটে পানির সঙ্গে খেতে পারেন এই কালোজিরা, তাতে বেশ উপকার পাবেন।
# মাথাব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে এবং কানের পার্শ্ববর্তী স্থানে দৈনিক ৩ হতে ৪ বার কালোজিরার তেল মালিশ করুণ। তিন দিন খালি পেটে চা চামচে এক চামচ করে কালোজিরার তেল পান করুন তাতে উপকার পাবেন।
# লেবু দিয়ে মাথার তালুতে এটি ভালোভাবে ঘষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল ভালোভাবে শুকানোর পর কালোজিরার তেল মালিশ করতে হবে। এতে করে এক সপ্তাহেই চুলপড়া কমে আসবে।
# বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করলে হাঁপানির সমস্যাতে বেশ আরাম পাবেন।
# ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও উচ্চরক্তচাপের সমস্যায় আপনি খেতে পারেন কালোজিরা। এ ছাড়াও যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান, তারা খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন উষ্ণ পানি, মধু এবং লেবুর রসের সংমিশ্রণের সঙ্গে কালোজিরা।
# কালোজিরা দুর্দান্ত অ্যান্টি-টক্সিনের কাজ করে থাকে। তাই যন্ত্রণামুক্ত এবং পরিষ্কার প্রস্রাবের জন্য খাবারের সঙ্গে রাখুন কালোজিরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।।