দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা তুলসি পাতার অনেক গুণের কথা শুনেছি। একাধিক ঔষধি গুণ এবং রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে এই তুলসি পাতার মধ্যে। এবার জানা গেলো তুলসি পাতা কিডনির রোগ নিরাময়েও উপকারী!
আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি ছোটোখাটো অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে এই তুলসি পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আজ দেখে নেওয়া যাক এমনই ৫টি শারীরিক সমস্যার প্রতিকার হিসেবে তুলসি পাতার ব্যবহার।
কিডনির সমস্যা
তুলসি পাতা কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গের বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। তুলসি পাতার রস প্রতিদিন একগ্লাস করে পান পারলে, কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই থাকে না। যদি কিডনিতে পাথর জমে যায়, সে ক্ষেত্রেও তুলসিপাতার রস টানা ৬ মাস খেতে পারলে সেই স্টোন মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে।
সর্দি ও কাশি
আমরা সারাজীবন এই বিষয়টি অবগত রয়েছি সর্দি ও কাশিতে তুলসি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে। সর্দি-কাশি প্রায় প্রত্যেকটি মৌসুমের খুব সাধারণ একটি সমস্যা যা সকলকেই কষ্ট দেয়। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে হতে তুলসি পাতা ৫ মিনিট ধরে চিবিয়ে রসটি গিলে নিতে হবে। তাহলে এই সমস্যার হাত থেকে আপনি খুব সহজেই সমাধান পেয়ে যাবেন।
গলা ব্যথা
সামান্য গরম পানিতে তুলসি পাতা দিয়ে সেদ্ধ করে কুলকুচি করলে কিংবা পান পারলে গলার ব্যথা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেরে যাবে।
ত্বকের সমস্যা
ত্বকে ব্রণ সমস্যা সমাধানের একটি সহজলভ্য এবং অন্যতম উপাদানই হলো তুলসি পাতা। তাছাড়াও নানা রকম অ্যালার্জির সমস্যায় তুলসিপাতা অত্যন্ত কার্যকর একটি জিনিস। তুলসি পাতার পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে লাগালে এই সমস্যাগুলিও অনেকাংশে কমে যায়।
জ্বর
এই তুলসি পাতা সব থেকে বেশি যে অসুখের হাত হতে আপনাকে রক্ষা করবে তা হলো জ্বর। চায়ে তুলসি পাতা সেদ্ধ করে পান করলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি অসুখ থেকে আপনি খুব সহজেই রক্ষা পেতে পারেন। আপনার পরিবারের কারও জ্বর হলেই তাকে তুলসি পাতা ও দারুচিনি মেশানো ঠাণ্ডা চা পান করান। তাতে জ্বর সেরে যাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।