দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরশু নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না নিহত হওয়ার ঘটনার সঙ্গে তাদের মেয়ে ঐশী জড়িত রয়েছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছে।
গতপরশু কোন এক সময় রাজধানীর চামেলীবাগের বাসায় স্ত্রীসহ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান (১৭) সহ আরও ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান। তবে ঐশী ছাড়া বাকি ৪ জনের মধ্যে তাদের বাসার গৃহপরিচারিকাও রয়েছে বলে টিভি নিউজ ও সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতেই চামেলীবাগের ওই বাড়ির দুই নিরাপত্তাকর্মী মোহাম্মদ মোতালেব ও মোহাম্মদ শাহীনকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে কে জড়িত, তা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো নিশ্চিতভাবে জানানো হয়নি।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ। তিনি জানান, মাহফুজুরের শরীরে দুটি ও স্বপ্নার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ১১টি ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে। তিনি বলেন, আঘাতের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, হত্যার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। নিহত দু’জনের ভিসেরা সংগ্রহ করে মহাখালী পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের জানাজা রাজারবাগ বড় মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখান থেকে তাঁদের দুজনের লাশ নিয়ে পুলিশের একটি বড় গাড়ি মাহফুজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। মাহফুজুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা জানান, সেখানেই দুজনের লাশ দাফন করা হবে।
এ ঘটনায় সকালে পল্টন থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মশিহুর রহমান বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে বেলা দুইটার দিকে ঐশী পল্টন থানায় যায় বলে মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আশরাফুজ্জামান জানান। তিনি বলেন, ওই সময় তাকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, আজ পল্টন থানা থেকে ঐশী রহমানকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে ঐশী যেখানে ছিল, সেসব জায়গায় ডিবি কর্মকর্তারা যান। এ সময় ঐশীও তাঁদের সঙ্গে ছিল। পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।