দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু (২০)কে ধর্ষণ ও হত্যার পর দেশজুড়ে এক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শুরু হয়েছে। এদিকে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু ২০ মার্চ বিকেলে বাসার কাছে টিউশনি করতে বের হন। এরপর সে নিখোঁজ হয়। এর পরের দিন ২১ মার্চ (সোমবার) সকালে কুমিল্লা সেনানিবাসের পাশ্ববর্তী এলাকা হতে পুলিশ তার ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। তাকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ের এক চরমতম নির্মতার শিকার হয়েছে এই ছাত্রী।
এদিকে এই ঘটনার পর দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেনানিবাসের নিকটে এমন ঘটনার পর ৫ দিন পার হতে চলেছে কিন্তু তারপরও কাওকে গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ শনিবার বলেছেন, ‘তনু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দারা কাজ করছে। তদন্তের আগে কিছু বলতে চাই না। ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া সকল হত্যাকাণ্ডের রহস্য যেমন উদঘাটন হয়েছে, তেমনি তনু হত্যারও রহস্যও উদঘাটন হবে ও হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ চৌধুরী সেনাবাহিনীর নিরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে। অবশ্য আইএসপিআর এক তথ্য বিবরণিতে ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।
তবে দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কমেনি। সাধারণ মানুষের মধ্যে জননিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তনু হত্যার পর জাতীয় প্রেসক্লাবসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। দেশবাসীর একমাত্র প্রত্যাশা তনু হত্যার হোতাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।