দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ছবি পোস্ট করার কারণে বেড়ে গেছে ফটো এডিটরের ব্যবহার। ছবিকে আরও আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন ইমেজ এডিটর অ্যাপের আশ্রয় নেয় গ্রাহকরা। এতে ব্যাংকিংয়ের তথ্য চুরি হতে পারে!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দর ছবি পেতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বহু গ্রাহক। তাই কোনও ইমেজ অ্যাপ বা ফিল্টার ডাউনলোডের আগে জেনে নিতে হবে কিছু বিষয়।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে এই ধরনের অ্যাপগুলি আপনার স্মার্টফোন থেকে ব্যক্তিগত ডেটা , ব্যাংকিং বিবরণ এবং অন্যান্য তথ্যও চুরি করতে পারে। তাছাড়াও, এই ধরনের ফটো এডিটর অ্যাপ ডাউনলোডের কারণে আপনার ফোনে ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাস আসার ঝুঁকিও থাকে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার ফোন হ্যাকও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রতারকরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিবে আপনার ফোন।
অনেক অ্যাপেও বিপজ্জনক ম্যালওয়্যার কিংবা ভাইরাস থাকে। সে কারণে গুগল তার প্লে-স্টোর হতে এই ধরনের অ্যাপগুলি বার বার সরিয়ে নেয়। যদিও সাইবার অপরাধীরা প্রতিবারই নতুন রূপে অ্যাপটি আবারও প্লে-স্টোরে নিয়ে আসে। আপনি যখন ফোনে এই অ্যাপগুলি ইনস্টল করবেন, তারা আপনাকে কনট্যাক্টস,কল লগ, মিডিয়া, লোকেশন এবং আরও অনেক কিছুর অ্যাক্সেস চাইবে। অজান্তেই আপনি তাদের এই অ্যাক্সেসগুলো দিয়ে দেবেন। তারপরই কাজ শুরু করে দেন হ্যাকাররা। আপনাকে না জানিয়ে ডেটা চুরি করতে থাকে এইসব অ্যাপগুলো।
এই ধরনের অ্যাপের থেকে বিপদ এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আপনাকে:
# প্রথমত, এই ধরনের ইমেজ এডিটর অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকুন।
# দ্বিতীয়ত, আপনার ফোনেই ফটো এডিট করার জন্য অনেক অপশন রয়েছে।
# তারপরও যদি এটিডের অ্যাপ ইন্সটল করতেই চান, তাহলে রিভিউ দেখেই ওয়াপ ইনস্টল করুন।
# সেইসব অ্যাপগুলো বাছুন, যেগুলো বেশি লোক ইন্সটল করেছে। রিভিউ, কমেন্ট দেখে তবেই এই ধরনের অ্যাপ ইনস্টলের সিদ্ধান্ত নিন।
# অ্যাপটি ইন্সটল করার সময় আপনাকে মনে রাখতে হবে, ডাউনলোড করা অ্যাপের কাজ অনুযায়ী সম্পর্কিত অ্যাক্সেসই দিন। ব্যক্তিগত তথ্য বিভাগে অ্যাক্সেসের কোনো অনুমতি দেবেন না।
# সময়-সময় গুগল-এর নিষিদ্ধ অ্যাপগুলির তালিকা দেখে নিন। এতে করে আপনার অ্যাপটি নিষিদ্ধ হলে সঙ্গে সঙ্গেই তা আনইনস্টল করে ফেলতে হবে। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।