দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই গরমের সময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এই সময় অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। তাই এই সময় তুলসীর বীজ খেলেই হতে পারে মুশকিল আসান।
তুলসীর বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে যা ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, নানা রোগের মোকাবিলায় তুলসী পাতার কোনও তুলনা নেই। শুধু পাতাই নয়, তুলসীর বীজও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ উপকারী। তুলসী পাতার মতোই তুলসী বীজও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণভাবে উপকারী।
ভাবছেন তুলসী বীজ আবার খাবেন কীভাবে? পানিতে কিংবা দুধে ভিজিয়ে রেখে এই বীজ খাওয়া যেতে পারে।
তুলসীর বীজের আর কী গুণ রয়েছে?
# নিয়মিত পানিতে ভিজিয়ে রাখা তুলসীর বীজ খেলে হজমশক্তির উন্নতি ঘটে। তুলসীর বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদানটি খিদে কমাতেও সাহায্য করে। সে কারণে এই বীজ আপনার ওজন কমাতেও দারুণ সহায়ক।
# গরমের এই সময় শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। অনেকেই পেটের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই এই সময় তুলসী বীজ খেলেই পেতে পারেন উপকার। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় এই বীজটি রাখতে পারেন। পেট ঠাণ্ডা থাকবে ও পেটের সমস্যাও তখন দূর হবে।
# সাধারণ সর্দি ও ফ্লু জাতীয় সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে এই বীজের জুড়ি নেই। শুধু তাই নয়, পেশীতে টান পড়লেও এই বীজ খেলে আরাম পাবেন।
# যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তারা এই সমস্যা সমাধানে তুলসীর বীজ খেতে পারেন, কারণ এটি দারুণ উপকারী। এই বীজ গরম পানি কিংবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে গ্যাসের ব্যথায় আরাম পাবেন।
# তুলসীর বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে যা ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো। নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এই বীজ ব্যবহার করলে এগজিমা ও সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। তুলসীর বীজে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
# তুলসীর বীজে উপস্থিত ডায়েটেরি ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই বীজ খাদ্যতালিকায় রাখলে ডায়াবেটিক রোগীরা খুবই উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।