দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ থ্রিজি লাইসেন্স পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ ফোন জানিয়েছে, অক্টোবরেই সীমিত আকারে থ্রিজি সেবা চালু করা হবে।
আজ (৯ সেপ্টেম্বর) সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ চলতি বছরের অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধেই থ্রিজি সেবা চালু করার কথা জানান। খবর অনলাইন সূত্রের।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রামের নির্বাচিত কিছু এলাকায় অক্টোবরের প্রথম দিকেই থ্রিজি চালু করবে মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরকে এ সেবার আওতায় আনা হবে নভেম্বরের মধ্যে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ৭টি বিভাগীয় শহরে এ সেবা চালু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে গ্রামীণ ফোন।
গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ আরও বলেন, ‘থ্রিজি-গ্রামীণফোন’ বাংলাদেশের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে। সবার কাছে দ্রুততম সময়ে ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়ে দেশকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করাই আমাদের লক্ষ্য।’ গ্রামীণ ফোন শুরু থেকে এদেশের গ্রাহকদের সুযোগ-সুবিধা সব সময় বিবেচনায় রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ ফোন তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট নিলামে অংশ নিতে আবেদন করে বেসরকারি পাঁচ অপারেটর। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ১৭ আগস্ট যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে বিটিআরসি। এতে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল ও সিটিসেলকে যোগ্য বলে ঘোষণা করে কমিশন। নিলামে অংশ নেয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে ২৬ আগস্ট বিড আর্নেস্ট মানি জমা দেয় চার অপারেটর। তবে আর্থিক সংকটের কারণে এ অর্থ জমা দিতে পারেনি দেশের সবচেয়ে পুরনো সেলফোন অপারেটর সিটিসেল।
গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর হোটেল রূপসী বাংলা হোটেলের বলরুমে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে অংশ নিতে চার মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। তবে প্রথম ধাপে গ্রামীণফোন ব্যতীত অপর তিনটি মোবাইল অপরেটর নিলামে অংশগ্রহণ করেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই নিলাম অনুষ্ঠিত এটি।
উন্মুক্ত পদ্ধতিতে এ নিলামে প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য (বেজ প্রাইস) ধরা হয়েছে ২ কোটি মার্কিন ডলার। ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে থ্রিজির জন্য ৪০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হবে। থ্রিজির লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। আর প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়নে ৫ কোটি টাকা করে ফি দিতে হবে অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
বিটিআরসির চূড়ান্ত নিলাম প্রক্রিয়া অনুযায়ী, তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এ নিলাম। প্রথম ধাপে ১০ মেগাহার্টজ, দ্বিতীয় ধাপে ৫ মেগাহার্টজ ও শেষ ধাপে অবিক্রীত (১০ মেগাহার্টজের) বাকি তরঙ্গের নিলাম হবে। কোনো অপারেটরই ১৫ মেগাহার্টজের বেশি তরঙ্গ কিনতে পারবে না। নিলামে ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান পরবর্তী সময়ে অবিক্রীত তরঙ্গের নিলামে অংশ নিতে পারবে না। শুধু ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের নিলামে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠান অবিক্রীত তরঙ্গ কিনতে পারবে। নিলামের ভিত্তিমূল্য অনুযায়ী অবিক্রীত বাকি তরঙ্গের ডাক শুরু হবে।