দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে এবারে নতুন এক মাত্রায় পৌঁছে দিতে তরুণ প্রজন্মের সেরা পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি নিয়ে এলো তাদের জিটি সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন– জিটি৫ প্রো!
স্ন্যাপড্র্যাগন ৮ জেন ৩ মোবাইল প্ল্যাটফর্ম ও আইএমএক্স৮৯০ সেন্সর যুক্ত ইন্ডাস্ট্রি’র সর্বপ্রথম পেরিস্কোপ লেন্স সমৃদ্ধ এই শক্তিশালী জিটি ডিভাইসটি নিঃসন্দেহে “ফ্ল্যাগশিপ” ফোন ব্যবহারের রোমাঞ্চকে নতুন করে আবারও প্রমাণ করতে যাচ্ছে!
ডিভাইসটির মূল বৈশিষ্ট্যের জায়গায় রয়েছে এর উন্নততর সিপিইউ, জিপিইউ, এআই পারফর্মেন্স ও এনার্জি এফিশিয়েন্সি, অর্থাৎ শক্তি সঞ্চয় ক্ষমতা। তাই যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন চালু করার সময়, গেম খেলার সময় ফ্রেম রেটে বা ছবি প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে রিয়েলমি জিটি৫ প্রো দেবে দূর্দান্ত গতিময়তা, যা কেবল শীর্ষমানের ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস থেকেই আশা করা সম্ভব।
রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’তে যোগ করা হয়েছে থ্রিভিসি (ভেপর চেম্বার) কুলিং সিস্টেম। স্মার্টফোন শিল্পে এই যাবতের সবচেয়ে বড় এই ভিসি এরিয়া’র ১২ হাজার মিমি ২ পর্যন্ত অংশে হিট ডিসিপেশন সক্ষমতা রয়েছে, সুতরাং হ্যান্ডসেটটি ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও বিশ্বের প্রথম হ্যান্ডসেট হিসেবে এতে আরও যুক্ত হয়েছে গিক পারফর্মেন্স প্যানেল ২.০, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুসারে সিপিইউ ফ্রিকোয়েন্সি মড্যুলেশনের সুবিধা নিতে পারবেন।
যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য সুখবর, কারণ রিয়েলমি’র এই সর্বাধুনিক ফ্ল্যাগশিপে রয়েছে সনি এলওয়াইটি-৮০৮ সুপার লাইট সেন্সর। তাছাড়াও এই ডিভাইসটিতে রিয়েলমি তাদের এখন পর্যন্ত সবচাইতে বড় মূল ক্যামেরাটি যোগ করেছে, যাতে রয়েছে ১/১.৪-ইঞ্চি সাইজ সেন্সর ও এফ/১.৬৯ আল্ট্রা-লার্জ অ্যাপারচার। সেন্সরটি অল্প আলোতেও পরিষ্কার ছবি তোলা কিংবা ভিডিও ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কাজে আসবে, সেইসঙ্গে এইচডিআর ইফেক্ট তৈরিতেও সাহায্য করবে। আনকোরা সুপারলাইট ইমেজিং ইঞ্জিন এবং প্রোলাইট অ্যালগরিদমের সমন্বয়ে রীতিমতো চোখ ধাঁধানো ছবি তোলার সুবিধা দেয় রিয়েলমি জিটি৫ প্রো। এতে আরও রয়েছে আইএমএক্স৮৯০ টেলিফটো ক্যামেরা, যা মূল ক্যামেরা লেভেল সেন্সর আকৃতির ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে। অপটিক্যাল হার্ডওয়্যার, চিপ কম্পিউটিং পাওয়ার আর ইমেজিং অ্যালগরিদম নিয়ে কোয়ালকল এবং আর্কসফটের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে টেলিফটো ইমেজের এই অনন্য মান অর্জন করেছে রিয়েলমি।
স্ক্রিনে উজ্জ্বল আলো কিংবা ব্রাইটনেস ব্যবহার করে যে কোনো কিছু দেখার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন বাজারে ৪৫০০ নিটের সবচেয়ে উজ্জ্বল আলো পাওয়া যাবে রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’তে। এর ডিসপ্লে’তে আরও রয়েছে দেড় হাজার গোল্ডেন রেজ্যুলুশন, ২১৬০ হার্জ হাই-ফ্রিকোয়েন্সি পিডব্লিউএম ডিমিং ও ৪৫০পিপিআই ডিসপ্লে।
যে একদিকে যেমন ডিসপ্লে’র কারণে ব্যাটারির ওপর তেমন কোনো চাপ পড়বে না, অন্যদিকে স্ক্রিনে ছবি দেখার অভিজ্ঞতাও হবে আরো আরামদায়ক।
সিওপি প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিভাইসটির ডিসপ্লের নিচে রাখা হয়েছে ১.৩৬ মিমি’র সুক্ষ্ম বর্ডার, ৯৪.২০ শতাংশের স্ক্রিন-টু-বডি অনুপাত, ০.৫ হার্জ হতে ১৪৪ হার্জ পর্যন্ত ইন্টেলিজেন্ট রিফ্রেশ রেট, এবং ১.০৭ বিলিয়ন কালার ডিসপ্লে, যেটির ডলবি অ্যাটমোস ভিডিও প্লেব্যাক এবং প্রো-এক্সডিআর সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও ডিভাইসটির ডিসপ্লেতে ফুল-ব্রাইটনেস আই প্রটেকশন সুবিধা রয়েছে। টিইউভি আই কম্ফোর্ট সার্টিফিকেশন ৩.০ অর্জন করা ডিভাইসটি থেকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ভিউয়িং এক্সপেরিয়েন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহের সুযোগই থাকছে না!
রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’তে রয়েছে র্যাপিড পাম আনলক সুবিধা, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা হাতের তালু ডিভাইসের স্ক্রিনের কাছাকাছি নিয়ে আসার মাধ্যমে নিমিষেই ডিভাইসটি আনলক করতে পারবেন। সেটটির এআই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নিয়ন্ত্রিত জেসচার কন্ট্রোল সিস্টেম এরকম মোট ১২টি অঙ্গ- ভঙ্গিমার সাহায্যে ফোনের বিভিন্ন ফিচার ব্যবহারের সুবিধা থাকছে। চার্জিং নিয়েও দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, কারণ রিয়েলমি রিয়েলমি জিটি৫ প্রো ডিভাইসটিতে থাকছে ৫৪০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, সেই সঙ্গে ১০০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং এবং ৫০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা। ডিভাইসটিতে রিয়েলমি ইউআই ৫.০’র সঙ্গে রয়েছে ইউনিভার্সাল আইআর ব্লাস্টার কন্ট্রোল, উন্নততর এনএফসি, এক্স-এক্সিস লিনিয়ার মোটর, ডলবি অ্যাটমোস ডুয়াল স্পিকারস, এবং আইপি৬৪ মানের ধুলা এবং পানি নিরোধ সক্ষমতা। আগামী প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ ফোনের মজা উপভোগ করতে এবার তাহলে আর দেরি কীসের? খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’র।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org