দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই কাঁচা হুলুদ খেয়ে থাকেন। তবে শুধু কাঁচা হলুদ খেলেই হবে না। সঙ্গে খেতে হবে বেশ কিছু খাবারও। তাহলে কাঁচা হলুদের সুফল আরও বেশি পাবে শরীর।
খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সকলেই মোটামুটি ওয়াকিবহাল। সাধারণ পেটের গোলমাল কমানো থেকে রক্ত পরিষ্কার রাখা, সব কিছুতেই কাঁচা হলুদের ভূমিকা রয়েছে। কাঁচা হলুদ ত্বকের জন্যও ভীষণভাবে উপকারী। সুস্থ থাকতে কাঁচা হলুদ খাওয়ার কোনও বিকল্পও নেই। তবে শুধুমাত্র কাঁচা হলুদ খেলেই হবে না। সঙ্গে খেতে হবে বেশ কিছু খাবারও। তাহলে শরীর কাঁচা হলুদের সুফল পাবে আরও বেশি করে।
আদা
হলুদ ও আদার যুগলবন্দি শরীরের জন্য বেশ ভালো। দু’টোতেই রয়েছে ইন-ফ্লেমেটরি উপাদান। আদা-হলুদের পানীয় প্রতিদিন খেতে পারলেই প্রদাহজনিত সমস্যাও দূরে চলে যায়।
গোলমরিচ
গোলমরিচ হলো হেঁশেলের অন্যতম উপকারী একটি উপকরণ। গোলমরিচ এ রয়েছে পিপারিন, যা হলুদের সঙ্গে মিশে শরীরের সামগ্রিক উন্নতিতে সাহায্যও করে। হলুদ ও এক চিমটে গোলমরিচের গুণে বদলে যেতে পারে আপনার জীবন।
নারকেল দুধ
হলুদের সঙ্গে নারকেল দুধের যে কোনও সম্পর্ক রয়েছে, তা অনেকেই জানেনই না। তবে নারকেল দুধে হলুদ মিশালে শরীর পায় অনেক সুফল। নারকেল দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেলে পাওয়া যাবে সুফল। রান্নায় নারকেলের দুধে হলুদ মিশিয়ে দিলে স্বাদ আরও বাড়ে।
লেবুর রস
লেবুর রস ও হলুদকে স্বাস্থ্যকর জুটি বলা যায়। দু’টোরই ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। তবে একসঙ্গে পাওয়া যাবে অভাবনীয় উপকারিতা। লেবুর রসে হলুদ মিশিয়ে খেলে পেটের গোলমালও দূরে চলে যায়। ত্বকেও পড়ে এর প্রভাব। তাছাড়া ত্বকে জমে থাকা টক্সিনও পরিষ্কার হয়ে যায়।
দই
হলুদের সঙ্গেও নির্দ্বিধায় খেতে পারেন টক দই। দই ও হলুদের যুগলবন্দি শরীরে সার্বিক উন্নতিতেও সাহায্য করবে। দু’টোই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকরও। দই শুধু খেলে উপকার পাওয়া যাবেই, হলুদ মিশিয়ে খেলেও লাভবান হবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org