দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১০০ টাকায় ‘জেন-জি’ সিম বিক্রি বন্ধ করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়াত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে এই সিমটি কিনতে নিয়মিত মূল্য ১৫০ টাকা খরচ করতে হবে গ্রাহকদের।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) টেলিটকের ফেসবুক পেজে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০০ টাকা মূল্যে ‘জেন-জি’ সিম ক্রয় করার আজই শেষ দিন। আগামীকাল (২৪ অক্টোবর) থেকে প্যাকেজটির রেগুলার মূল্য ১৫০ টাকা কার্যকর করা হবে।
মূলত জুলাই বিপ্লবের আলোচিত শব্দ ‘জেনারেশন জি’ কিংবা ‘জেন-জি’ কে অনুসরণ করে তরুণদের জন্য ‘জেন-জি’ নামে সিম প্যাকেজ বাজারে আনে টেলিটক। আনলিমিটেড মেয়াদে ডাটা এবং বছর মেয়াদে বান্ডেল অফার পাওয়া যাচ্ছে এই প্যকেজটিতে। এই সিমের দাম ১৫০ টাকা হলেও প্রথম ৩০ দিন অর্থাৎ এক মাস গ্রাহকরা ৫০ টাকা কমে এই সিমটি কিনতে পেরেছেন।
টেলিটকের পক্ষ হতে জানানো হয়, এই প্যাকেজে রয়েছে বাজারের সবচেয়ে কম মূল্যে আনলিমিটেড মেয়াদে ডাটা এবং বছর মেয়াদে বান্ডেল অফার সুবিধা। আরও রয়েছে ১ সেকেন্ড পালস্, সাশ্রয়ী ভয়েস, ট্যারিফ ও চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ১২ মাসের অল জবস প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ সার্ভিসের ফ্রি সুবিধা। নতুন গ্রাহকরা টেলিটক কাস্টমার কেয়ার হতে এই সিমটি কিনতে পারবেন। তাছাড়াও গুগল প্লে স্টোর হতে মাই টেলিটক অ্যাপে নিবন্ধন করার মাধ্যমেও ব্যবহারকারীরা জেন-জি প্যাকেজের অফারগুলো নিতে পারবেন। সেইসঙ্গে ফিচার ফোন ব্যবহারকারীরা *১১১# ডায়াল করেও এই সুবিধাটি পাবেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org