দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস সম্প্রতি এর ম্যানেজড ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স (এমডিআর) পরিষেবাটি আরও উন্নত করেছে। এই এমডিআর পরিষেবার মাধ্যমে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২৬ হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা পাচ্ছে এবং ২০২৪ সালে এমন গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ৩৭ শতাংশ। সফোস এমডিআর বৃহত্তর পরিসরে সুরক্ষা দিতেও সক্ষম।

এটি সাধারণ সাইবার হামলা নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও সম্পূর্ণভাবে সাইবার হামলার ঘটন-গগুলোর প্রভাব কিংবা ইন্সিডেন্ট রেসপন্স নিয়েই কাজ করে। যেমন- সাইবার হামলার মূল কারণটি বিশ্লেষণ, হামলাকারীদের দ্বারা ব্যবহৃত ক্ষতিকারক টুলস অপসারণ ও পুনরায় সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করে গ্রাহকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ। সফোস পরিষেবাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যই হলো, এটি ইনসিডেন্ট রেসপন্সের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সুবিধাটি প্রদান করে। যেখানে গ্রাহকদের অতিরিক্ত কোনো অর্থই দিতে হয় না।
সফোস তাদের এমডিআর পরিষেবাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা এআইভিত্তিক নতুন ফিচারও যুক্ত করেছে। এতে সাইবার হুমকি শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ ও অনুসন্ধানের কার্যক্রমকেও আরও উন্নত করেছে। এমডিআর পরিষেবার নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে- গ্রুপ অব ভ্যালু ড্যাশ-বোর্ড যা সাইবার থ্রেট শনাক্তকরণের কাজই তুলে ধরে। মাইক্রোসফট গ্রাহকদের জন্যে উন্নত মাইক্রোসফট অফিস ৩৬৫। তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশনে টেনাবেল দ্বারা সার্টিফাইড সফোস ম্যানেজড রিস্ক পরিষেবাও। এআই ভিত্তিক ওয়ার্কফ্লো, যা সাইবার হামলাগুলো বিশ্লেষণে সক্ষম-এটি অটোমেশনও বৃদ্ধি করে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org