দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিনিয়োগের ব্যবসা দুটো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এক হলো ভাগ্য এবং অন্যটি হচ্ছে বিচক্ষণতা বা দূরদর্শিতা। কোনো কোনো সময় বিনিয়োগের ব্যবসায় ভাগ্য আপনাকে বিশাল একটি সফলতা এনে দিতে পারে। আর ঠিক এ ব্যাপারটিই ঘটেছে বিটকয়েনে বিনিয়োগকারী একজন ছাত্রের ভাগ্যে। ২০০৯ সালে কেনা ২৭ ডলারের বিটকয়েন আজ তাঁকে এনে দিয়েছে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট!
বিটকয়েন আসলে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল অর্থ। এটির ধারণা প্রথম ২০০৮ সালে একটি পত্রিকায় আসে। যাইহোক, ২০০৯ সালে নরওয়েজিয়ান এক ছাত্র ক্রিস্টোফার কচ ২৭ ডলার দিয়ে মজা করার উদ্দেশ্যেই ভার্চুয়াল অর্থ কিছু বিটকয়েন কিনে রাখে এবং পরবর্তীতে বেমালুম ভুলে যায়।
এদিকে ২০০৯ সালে বিটকয়েনের আর্থিক মূল্য সামান্যই ছিলো। কিন্তু ২০১৩ সালের এপ্রিলে এসে বিটকয়েনের মূল্য ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এটি মিডিয়াতে বেশ প্রচারণায়ও পায়, তখনই মিঃ কচের মনে পড়ে যায় কিছু বছর আগে তিনি কিছু বিটকয়েন কিনে রেখেছিলেন! যখন সে তার বিটকয়েনগুলো খুঁজে পেলো তখন আসলে সেখানে ৫০০০ বিটকয়েন জমা হয়ে গেছে! যার মূল্য এখন $৮৮৫,৫২০ ডলার! সে তাঁর বিটকয়েনের পাঁচ ভাগের মাত্র একভাগের ক্যাশ টাকা তুলে সেটা দিয়ে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনে নিয়েছে টোয়েনে!
একেই বলে বুঝি ভাগ্যে থাকলে ঠেকায় কে!
তথ্যসূত্রঃ TheTechJournal