দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি আমাদের জীবনে দিয়েছে গতিশীলতা। স্মার্টফোন-ট্যাবলেট ব্যবহারে যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। ভালো দিকের পাশাপাশি সব কিছুরই মন্দ দিকও থাকে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা যায়, অধিক রাত পর্যন্ত মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারের কারণে পরবর্তী দিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ফোস্টার স্কুল অব বিজনেস দ্বারা পরিচালিত সমীক্ষাতে এই ফলাফল দেখা যায়। সমীক্ষাটি দুটি ধাপে পরিচালনা করা হয়। প্রথম ধাপে, ৮২ জন ম্যানেজার পদবীর অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একাধিক জরিপ করা হয়। পর পর দুই সপ্তাহ চলে এই জরীপ কাজ।
দ্বিতীয় ধাপে, ১৬১ জন চাকরীজীবিদের একই জরীপ ফরম পূর্ণ করতে বলা হয়। জরিপে কারা কারা অধিক রাত পর্যন্ত মোবাইল কিংবা টেবলয়েড ব্যবহার করেছিল তা শনাক্ত করা হয়। আশ্চর্যজনক ভাবে গবেষকরা দেখতে পান, যারা অধিক রাত পর্যন্ত ইমেইল চেক করা সংক্রান্ত কাজ গুলো সম্পাদন করেছেন তাদের পরবর্তী দিনের কাজে কর্মক্ষমতা কমেছে। অধিক রাত পর্যন্ত মোবাইল টেবলয়েড কর্মক্ষমতা হ্রাস করার জন্য দায়ী।
গবেষকরা এই কর্মক্ষমতা হ্রাস এর জন্য মনস্তাত্ত্বিক এবং শারীরবৃত্তীয় কারণই দায়ী করেন। গবেষক দলের প্রধান ক্রিস্টোফার বার্নস বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্মার্টফোন ঘুমের ব্যাঘাত এর জন্য প্রভাবক। এর কারণ স্মার্টফোন আমাদের মানসিকভাবে কাজের দিকে সন্নিবিষ্ট রাখে। সারা দিনের কর্মক্লান্তির পর মানসিক ভাবে যে পরিশ্রম হয় তা দূর করার জন্য ঘুম জরুরী। এটা সঠিক ভাবে না হলে পরবর্তী দিনেও ক্লান্তিভাব থেকে যায়।
সমীক্ষাটির ফলাফল চাকরীজীবিদের কর্মক্ষমতা অব্যাহত রাখার জন্য অধিক রাত অবধি মোবাইল ফোন ট্যাবলয়েড ব্যবহার না করতে সুপারিশ করেছে। পরিমিত ঘুম এর চর্চা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সাধারণভাবে একজন মানুষের কর্মক্ষমতা যতটুকু হওয়া দরকার তার জন্যই রাতের ঘুম জরুরী।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল