দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোরসির বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসের মামলায় বিচার শুরু হয়েছে সে দেশের এক আদালতে। একই মামলায় মোরসি ছাড়াও মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষস্থানীয় আরো ৩৫জন নেতার বিচার শুরু হয়েছে।
মোরসি মিশরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা। কিন্তু নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় বসার কিছু সময়ের মাঝেই গত বছরের জুলাই মাসে ইসলামপন্থী মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহাম্মদ মোরসির শাসনের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ সারাদেশে তীব্র আন্দোলন ও বিক্ষোভের মুখে সামরিক বাহিনী তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়।
ক্ষমতা থেকে অপসারণের পরেই মোরসিকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে বিচার শুরু করা হয়। মোরসি’র বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু অভিযোগ আনা হলেও সর্বশেষ গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসের মদদ দেয়ার মামলায় বিচার কাজ শুরু হল কায়রোর আদালতে।
গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসের মদদ দেয়ার মামলায় বলা হচ্ছে, ‘মোরসি এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতার সাথে আন্তর্জাতিক ইসলামীক চরমপন্থী কিছু দলের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা ছিল। এসব সংগঠন হচ্ছে, ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হিযবুল্লাহ এবং ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডস বাহিনী।
এদিকে মোরসি’র বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগের বিষয়ে মিসরের ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকরা দাবি করছে, মোরসি মিসরের বৈধ প্রেসিডেন্ট এবং মোরসি নির্দোষ, তাকে অন্যায় ভাবে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।
মোরসির বিচারের বিষয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিচারে মোরসি যদি দোষী প্রমাণিত হন, তবে তার মৃত্যুদণ্ড হয়ে জেতে পারে। বর্তমানে মোরসি বুর্জ আল-আরব কারাগারে আটক অবস্থায় আছেন, তবে তাকে বিচারের জন্য হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা হয় রাজধানী কায়রোর পুলিশ একাডেমিতে। আদালতের শুনানি শেষেই তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে।
কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মিডিয়া আল-জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে অবশ্য জানিয়েছে, মোরসি একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং তার বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অভিযোগ মিসরের সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ এর জুলাইয়ে মোরসির অপসারণে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিলেন সে দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান আব্দেল ফাতাহ আল-সিসি। সেই ভূমিকার পুরুস্কার হিসেবে বর্তমানে তিনি মিশরের সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ ফিল্ড মার্শাল পদন্নোতি লাভ করেছেন। সর্বশেষ এক বিবৃতিতে আল সিসিকে মিশরের প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে চেয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী৷
সুত্রঃ আল-জাজিরা, ইয়াহু নিউজ, ভয়েজ অব রাশিয়া