দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুধু মানুষই বিচারের মুখোমুখি হয় তা নয়, এবার বনের পশু-পাখিও বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। বিচারের মুখোমুখি আনা হচ্ছে ১৮ সিংহকে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই মানুষ শিকার সন্দেহে ১৮টি সিংহকে আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওস্তাদ নামে একটি বাঘের বিরুদ্ধে মানুষ শিকারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে, সেটিকে যাবজ্জীবন আটকাদেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট!
এবার ১৮টি সিংহের বিরুদ্ধে মানুষ খাওয়ার অভিযোগে শুরু হয়েছে বিচার। তবে এই বিচার করছে আদালতে নয়, বিচার করছেন ভারতের গুজরাটের বনকর্মকর্তারাই। তিনজন মানুষকে হত্যার অভিযোগে এই সিংহগুলো আটক করা হয়। এদের মধ্যে কোনটি মানুষখেকো, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মানুষখেকো হিসেবে যে সিংহটি প্রমাণিত হবে, সেটিকে সারা জীবন খাঁচায় বন্দি করে রাখার রায় দেওয়া হবে। বাকিদের বনে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, এশীয় সিংহের একমাত্র অভয়ারণ্য হলো গুজরাটের গির বন। এই বনে সম্প্রতি মানুষের ওপর অন্তত ৬টি হামলা করেছে সিংহ। ইতিমধ্যে ৩ জন মানুষ মারাও গেছে।
গুজরাটের বনকর্মকর্তারা বলেছেন, আটককৃত সিংহগুলোর পায়ের ছাপ ও তাদের বিষ্ঠা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। হত্যাস্থানের সঙ্গে যে সিংহের পায়ের ছাপ ও বিষ্ঠার মিল পাওয়া যাবে, সেটিকেই সাজা দেওয়া হবে।
গুজরাটের শীর্ষ বনকর্মকর্তা জেএ খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, গত দুই মাস ধরে চেষ্টা চালিয়ে সন্দেহজনক ১৮টি সিংহকে আটক করা হয়। এগুলোকে পৃথক পৃথক খাঁচায় বন্দি করে পরীক্ষা করে দেখা হবে।
তিনি আরও জানান, মানুষখেকো সিংহ খুঁজে বের করতে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হবে। যাতে করে কোনো ভালো প্রকৃতির সিংহের সাজা না হয়, সেটিও ভালো মতো লক্ষ্য রাখা হবে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ রুচি দেব বলেছেন, সিংহগুলোর পায়ের ছাপ ও তাদের বিষ্ঠা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বনকর্মকর্তারা পশুগুলোর আচরণও পরীক্ষা করে দেখছেন। তিনি জানান, মানুষখেকো সিংহ সাধারণতভাবে মানুষ দেখলেই হিংস্র হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, ভারতের গুজরাটের এই গির বনে ২৭০টি সিংহ রয়েছে। সম্প্রতি এক জরিপে বলা হয়েছে, আগের চেয়ে আরও বাড়ছে সিংহের সংখ্যা।