দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমআইটির একদল ইঞ্জিনিয়ার ব্যাকটেরিয়ার শরীর থেকে একটি জীবন্ত কোষ তৈরি করেছে। এটি এমন একটি জীবন্ত কোষ যা ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরি করতে সক্ষম। এই কোষটি দ্বারা বায়োফিল্মজাতীয় উপকরণ তৈরি করা যাবে বলে মনে করেন প্রযুক্তিবিদরা।
গোল্ড ন্যানোপার্টিকেল এবং কোয়ান্টাম ডটস এর মতো স্পর্শকাতর প্রযুক্তির উপকরণগুলোর উৎপাদনে এই জীবন্তকোষটি সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়। ফলাফলস্বরূপ জীবন্তকোষগুলো জটিল জৈবযৌগ তৈরি করতে সক্ষম। যার ফলে সৌরকোষ, নিজে নিজে নিরাময়যোগ্য কোষ, ডায়াগনস্টিক সেন্সর এবং স্মার্টফোন তৈরিতে এগুলোর ব্যবহার করা যাবে।
“আমাদের চিন্তাভাবনা জীবন ও জড়ের মাঝে একটি হাইব্রিড উপকরণ তৈরির মাধ্যমে তাদের একীভুত করা যা অনেকটা জীবন্ত এবং কার্যকরী হবে”। গবেষণা দলের ইলেকট্রিক্যাল-বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রফেসর টিমোথি লিউ বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করেন। এটি চিন্তাভাবনার এক অভুতপুর্ব উপায় যেখানে বস্তগত উপাদানগুলো কিভাবে বিশ্লেষিত হয় তা জানা যাবে। এটি আমাদের ভাবনার জগতের বাইরে যে আমরা জড়বস্তুদের এত দিন যেভাবে দেখে এসেছি তারা ঠিক তার উল্টো হয়ে যাচ্ছে।
ব্যাকটেরিয়াদের মধ্যে ইকোলাই ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়েছে কারণ এটি প্রাকৃতিকভাবেই বায়োফিল্ম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি তার কোষের পৃষ্ঠতলে একধরনের ফাইবার উৎপন্ন করে যার নাম “কার্লিফাইবার” বলে পরিচিত। বিভিন্ন ধরণের পরিবেশের অবস্থাগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং কোষগুলো ভিন্ন ভিন্ন কার্লিফাইবার তৈরি করতে সক্ষম। গবেষকরা বায়োফিল্মের বৈশিষ্ট্যগত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গোল্ড ন্যানো তার এবং কোয়ান্টাম ডটস অথবা স্ফটিকাকার কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল উপকরণ তৈরি করতে পারবেন।
এমআইটির গবেষকরা বলছেন এটি ন্যানোটেকনোলজির দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়া। হয়তো খুব বেশিদিন দূরে নেই যখন ন্যানোবায়োসিরাম শরীরে প্রবেশ করিয়ে খুব সহজেই কোন দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা যাবে।
তথ্যসূত্রঃ ইনহেভিট্যান্ট