দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডেঙ্গু একটি আতঙ্কের নাম। বিশেষ করে বাংলাদেশ ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় এই আতঙ্ক বেশি। সমপ্রতি এই ডেঙ্গুর সফল টিকা আবিষ্কারের খবর পাওয়া গেছে। যে কারণে সকলের মধ্যেই আবার নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। এডিস মশা এই ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক। প্রতি বছর বাংলাদেশের ডেঙ্গু রোগে মৃত্যুও ঘটছে।
জানা যায়, শীত প্রধান দেশের চেয়ে নিরক্ষীয় এলাকাতেই এই এডিস মশা জন্মায় বেশি। তাই আমাদের দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা যায়। সাধারণত নোংরা ও ময়লা পানিতেই মশার জন্ম হয়। কিন্তু এডিস মশা এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আক্রান্ত ব্যক্তিকে সময়মত ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হলে আর কোনো বিপদ হয় না। তবে এই ক্ষেত্রে দেরি হয়ে গেলে রোগী মারা যায়। ফ্রান্সের ওষুধ কোম্পানি সানোফি এসএ অনেক দিন ধরেই এই ডেঙ্গুর টিকা আবিষ্কারের জন্য কাজ করে আসছে। সমপ্রতি থাইল্যান্ডে তাদের এই টিকার পরীক্ষা বেশ সফলতা এনেছে। সমপ্রতি তারা জানিয়েছে যে, তাদের প্রস্তুতকৃত টিকা ডেঙ্গুর চার ধরনের ভাইরাসের মধ্যে তিনটির বিরুদ্ধেই কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
ফরাসি কোম্পানি সানোফি থাইল্যান্ডের চার হাজার শিশুকে এই টিকা দিয়েছিল যাদের বয়স ছিল চার থেকে ১১ বছর। এই পরীক্ষা চালানোর সময় তারা খেয়াল করে যে এই টিকা ডেঙ্গুর চারটি ভাইরাসের মধ্যে তিনটির বিরুদ্ধেই বেশ কাজে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গুর চার ধরনের ভাইরাস রয়েছে। সানোফির কর্মকর্তারা এখন আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফরাসি এই কোম্পানি গত কয়েক বছরে এই টিকা আবিষ্কারের জন্য ৩৫ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করেছে।
কেবল থাইল্যান্ড নয়, এশিয়া এবং ল্যাটিন অ্যামেরিকার অনেক দেশেই সানোফি ডেঙ্গু প্রতিরোধের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। সানোফি ছাড়া আরও একাধিক কোম্পানি ডেঙ্গুর টিকা আবিষ্কারের জন্য কাজ করছে। তবে তাদের চেয়ে এগিয়ে গেলো এই ফরাসি কোম্পানিটি। নতুন এই খবরটি স্বাভাবিকভাবেই রোগী এবং চিকিৎসকদের মধ্যে আশার আলো সঞ্চার করেছে। এর ফলে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হবে। মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হলো যে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যাবে।