দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাকাশে পাঠানো স্যাটেলাইট সেখানেই মেরামত ও জ্বালানি সরবরাহ করার জন্য নাসা’র রোবট বানানোর প্রক্রিয়া চলছিল। পরিকল্পনা ছিল, এই রোবট মহাকাশে পাঠিয়ে দিলে এগুলো নির্দিষ্ট স্যাটেলাইট মেরামত ও জ্বালানি সরবরাহ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে। কিন্তু নাসা তাদের পরিকল্পনা বদলেছে। এখন তারা তৈরি করছে বিশেষ রোবটিক স্যাটেলাইট রিফুয়েলিং সিস্টেম।
প্রাত্যহিক জীবনে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে স্যাটেলাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু জ্বালানি ছাড়া এগুলো অচল হয়ে পড়ে। তখন স্যাটেলাইটগুলোকে পৃথিবীতে এনে জ্বালানি ভরে আবার পাঠানো খুবই ব্যয় সাপেক্ষ একটি ব্যাপার। তাই নাসা নিয়ে আসলো ‘রিমোট রোবোটিক্স অক্সিডাইজার ট্রান্সফার’ প্রযুক্তি যা স্যাটেলাইটে জ্বালানি সরবরাহ করবে।
২০১১ সালের এপ্রিল থেকে নাসার প্রকৌশলীরা কক্ষপথে পরিদর্শন, মেরামত, জ্বালানি সরবরাহ, যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন এবং মহাকাশযানের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য রোবটিক স্যাটেলাইট সার্ভিসিং প্রযুক্তি আবিষ্কারের চেষ্টা করছিল। যার কারণে নাসার একটি দল ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে থেকে গ্রীনবেল্টে গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে থাকা দলের অন্য অংশের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে এই অভাবনীয় প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে যা স্যাটেলাইটের আয়ু বাড়িয়ে দিবে, সাশ্রয় হবে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।
গোডার্ডের স্যাটেলাইট সার্ভিসিং কেপাবিলিটিস অফিস জানিয়েছে, রিমোটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত রোবট কক্ষপথে থাকা এমন স্যাটেলাইটে জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে যেগুলোতে জ্বালানি সরবরাহের সিস্টেম নেই। ক্যানেডির এই চালকযন্ত্র সরবরাহ সিস্টেম এই পরীক্ষারই অংশ।
অন্যদিকে গোডার্ড থেকে দলটি একটি বাণিজ্যিক রোবটিক হাত পরীক্ষার জন্য কেনেডিতে পাঠিয়েছে। ৮০০ মাইল দূরে মেরিল্যান্ডে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল। এর সাথে ছিল স্যাটেলাইট সার্ভিসিং কেপাবিলিটিস অফিস সিস্টেম। অগ্রভাগে একটি পিন দ্বারা এটি জ্বালানি সরবরাহ করতে পারে। মহাকাশে মূল সমস্যা সেখানে অভিকর্ষজ ত্বরণ না থাকায় তরল বা গ্যাসের প্রবাহ হয়না। কিন্তু এই প্রযুক্তিতে সেই বাধা দূর করা হয়েছে।
নাসার নতুন আবিষ্কৃত এই প্রযুক্তির ফলে স্যাটেলাইট মেরামত এবং এতে জ্বালানি সরবরাহ করা যাবে। ফলে স্যাটেলাইটগুলোকে আরো বেশি দিন কাজে লাগানো যাবে।
সূত্রঃ Thetechjournal