দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নকল করা এখন যেনো ক্রেডিডের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে হিন্দি, ইংরেজি ও তামিল ছবির নকল হচ্ছে এখন হর হামেশায়। এবার ঈদের জন্য সেন্সরে দেওয়া দুটি ছবির বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকার সিনেমায় নকলের বিষয়টি নতুন নয়। বিনিয়োগ করা টাকা খুব সহজেই ফিরে পাওয়ার জন্য প্রযোজক ও পরিচালকরা হিন্দি, তামিল, তেলেগু আবার কখনও ইংরেজি ছবি নকল করে নির্মাণ করে চলেছেন। অথচ এইসব এক শ্রেণীর স্বার্থবাজদের কারণে সিনেমার মাধ্যমে আমরা হারাতে বসেছি নিজ দেশের সংস্কৃতি এবং দেশীয় চলচ্চিত্রের নিজস্ব ঐতিহ্য।
আমাদের দেশের বাংলা চলচ্চিত্র এমনিতেই খুব খারাপ অবস্থানে রয়েছে। এরপর নকল ছবির হিড়িক লাগায় দেশীয় সংস্কৃতির বারোটা বাজছে। দেশের সিনেমা হলগুলো এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্যাটেলাইটের বদৌলতে। তারপরও দেশের কিছু গুণি নির্মাতারা কিছু ভালো ছবি তৈরির মাধ্যমে দর্শকদের আবারও হলমুখো করতে যে উদ্যোগ নিয়েছেন এসব নকল ছবির কারণে তা একেবারে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সে উদ্যোগ। যে কারণে হলমুখো দর্শকরা ওইসব নকল ছবি দেখার জন্য হল বিমুখ হচ্ছেন। হারিয়ে ফেলছেন আগ্রহ।
গত রোজার ঈদে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত এবং প্রযোজিত ছবি ‘হিরো দ্যা সুপারস্টার’। মুক্তির আগে অনেক গাল গল্প শোনা গেলেও মুক্তির পর দেখা যায় তেলেগু ‘রেবেল’ সিনেমার কার্বন কপি ‘হিরো দ্যা সুপারস্টার’। হাতে নাতে ধরা খেয়ে শাকিব পরে চুপসে গেলেন। এ সময় তাঁকে নিয়ে চলম বিতর্কের সৃষ্টি হলে তিনি পাড়ি জমান কোলকাতায়।
ইদানিং আবার তামিল ছবির নকল করা হচ্ছে বেশি। কারণ বাংলাদেশী দর্শকরা হিন্দি ও ইংরেজি ছবি বেশি দেখেন। তামিল ছবি খুব একটা দেখে না কেও। সে কারণে তামিল ছবির নকল করা হচ্ছে বেশি।
সম্প্রতি আরেকটি ছবি ‘বাংলার ফাটাকেষ্ট’ সিনেমা সেন্সরে জমা দেয়। কিন্তু নকলের অভিযোগে সেন্সর বোর্ড ছবিটি আটকে দিয়েছে। আরও দুটি মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা নিয়েও নাকি নকলের অভিযোগ উঠেছে। আসছে কোরবানীর ঈদেই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে সিনেমা দুটি। আর এ নিয়ে সিনেমা পাড়া খ্যাত কাকরাইলের মানুষের মাঝে চলছে নানা গুঞ্জন।
একটি হলো সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘ওয়ারনিং’ সিনেমাটি নাকি ২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া তামিল ‘রামানা’ ও ২০০১ সালের ‘সিটিজেন’ এই দুটি সিনেমার নকল।
আরেকটি ছবি শাকিব খান অভিনীত এবং ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত ‘হিটম্যান’ সিনেমাটিও ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া তামিল সিনেমা ‘ভিটাই’ এর কার্বন কপি।
এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে এদেশের চলচ্চিত্রের ভবিষ্যত কি দাঁড়াবে তা নিয়ে শঙ্কিত এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।